নোবিপ্রবি কৃষি বিভাগের উদ্যোগে সূর্যমুখী চাষ
প্রকৃতির শোভাবর্ধনকারী সূর্যমুখী একটি উৎকৃষ্ট একবর্ষজীবী তেল জাতীয় ফসল। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তেলবীজ হিসেবে সূর্যমুখীর ব্যাপক চাষ করা হয়। হেলিয়ানথাস বৈজ্ঞানিক নামের এই ফুলটি ১৯৭৫ সাল থেকে তেল জাতীয় ফসল হিসেবে বাংলাদেশে চাষ হচ্ছে।বাংলাদেশে প্রধানত
কিরণী (ডিএস-১), বারি সুর্যমুখী-২,হাইসান-৩৩ ইত্যাদি জাতের সূর্যমুখী চাষ করা হয়।
মধ্যমাত্রার সহিষ্ণু সূর্যমুখীর জাত হাইসান-৩৩ একটি অস্ট্রেলিয়ান হাইব্রিড জাত।লবণ সহিষ্ণু জাত হিসেবে সূর্যমুখী বিনা চাষেও উৎপাদন করা যায়।এটি লাগানোর উপযুক্ত সময় নভেম্বর এর দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত।
এটি একদিকে যেমন প্রকৃতির শোভা বর্ধন করে তেমনি অন্যদিকে মানুষের ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটায়।এই তেলে ক্ষতিকারক ইউরেসিক এশিড থাকেনা বরং শতকরা ৪০-৪৫ ভাগ উপকারী লিনোলিক এসিড থাকে যা কিনা হৃদরোগের রোগীদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। সূর্যমুখীর তেল ঘীয়ের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহৃত হয়, যা বনস্পতি তেল নামে পরিচিত। এই তেল অন্যান্য রান্নার তেল হতে ভাল। এছাড়া এতে ভিটামিন এ, ডি ও ই রয়েছে।
হাইসান-৩৩ জাতের বয়স্কাল ১০০-১১০ দিন।এটি চাষ করতে মাত্র এক থেকে দুটি সেচ ও সামান্য সার দিলেই হয়।সূর্যমুখী চাষে একদিকে যেমন জমির উর্বরতা বাড়ে তেমনি অন্যদিকে জ্বালানীর চাহিদা পূরণ হয়। উপরোক্ত উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে পরীক্ষামূলক ভাবে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মাননীয় উপাচার্য ড: এম অহিদুজ্জামান স্যারের নির্দেশনায় কৃষি বিভাগের প্রভাষক মো: মারুফ বিল্লাহ স্যারের তত্ত্বাবধানে ও কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগীতায় সূর্যমুখী চাষ করা হয়।
কৃষি বিভাগের প্রভাষক মারুফ বিল্লাহ বলেন, ফুলের শোভা ও ফসল চাষের সাফল্য দেখে ক্যাম্পাসের সমগ্র শিক্ষক, ক্যাম্পাসের সকল ছাত্রছাত্রী এবং স্থানীয় ব্যক্তিরা অভিভূত এবং এই এলাকার জনগণ সূর্যমুখী চাষ করতে ব্যাপক ভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি আরো বলেন বাণিজ্যিক ভাবে এই এলাকায় কেউ সূর্যমুখী চাষ করতে চাইলে আমি সর্বাত্মক সহযোগীতা করব।তাছাড়া শিক্ষার্থীরা অবসর সময়ে দারুণ ভাবে উপভোগ করছেন সূর্যমুখীর সৌন্দর্য।#
লেখাপড়া২৪.কম