রাবিতে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

RU Pic1 13.03.2016রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ আজ রবিবার অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন। অনুষ্ঠানে উপাচার্য নবাগত শিক্ষার্থীদের পক্ষে আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ছাত্রী চৈতী বিশ্বাস ও ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র আহমদ আল ফারাবীকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে বরণ করে নেন। এসময় মিলনায়তনে উপস্থিত সকলে সম্মিলিত কণ্ঠে ‘আগুনের পরশমণি জ্বালাও প্রাণে…’ গানটির তালে তালে মোমবাতি জ্বালিয়ে নবাগত শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানান।

 

অনুষ্ঠানে ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর মো. ছাদেকুল আরেফিন স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর সায়েন উদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর প্রফেসর মো. তারিকুল হাসান, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি প্রফেসর জিন্নাত আরা বেগম, বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ প্রফেসর মোছা. ফেরদৌসী বেগম, বিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তা প্রফেসর মো. হাবিবুর রহমান, রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা বক্তব্য রাখেন। এছাড়া নবাগত শিক্ষার্থী চৈতী বিশ্বাস ও আহমদ আল ফারাবীও বক্তব্য রাখেন।

 

Post MIddle

নবাগত শিক্ষার্থীদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাগত জানিয়ে উপাচার্যসহ অন্যান্য বক্তাগণ বলেন – রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার অনির্বাণ বাতিঘর হয়ে আছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দেশ-জাতি-সমাজের সকল ক্ষেত্রে নিষ্ঠা ও সাফল্যের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে সকলের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে এক ইতিবাচক মনোভাব গড়ে উঠেছে। যুগের চাহিদা মেটাতে এখানে নতুন নতুন বিভাগ খোলা ও কোর্স-কারিকুলাম প্রবর্তন করা হয়েছে। ফলে এখানে ভর্তির জন্য এক প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হয়েছে। তাই মেধাবীদের মধ্যে মেধাবীরাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেরেছে। আগামী দিনগুলিতে নবীন শিক্ষার্থীরা পঠন-পাঠনে তাদের সেই মেধার স্বাক্ষর অক্ষুণœ রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

তাঁরা আরো বক্তব্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি মুক্ত চিন্তা বিকাশের পবিত্র অঙ্গন। এখানে দেশ-জাতি ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর কোনো কিছুর স্থান নাই। যে শিক্ষা মানুষের শুভ চিন্তাকে বিকশিত করে, চেতনাকে করে দেশপ্রেমের মহিমায় উদ্ভাসিত, নিজ মেধা ও অভিজ্ঞতাকে দেশের উন্নয়নে ধাবিত করে সেই শিক্ষায় সবাইকে শিক্ষিত হতে হবে। নবীন এ শিক্ষার্থীরা হবে একবিংশ শতাব্দীতে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার রূপকার।

 

নবীনবরণ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মুহাম্মদ এন্তাজুল হক। নবীনবরনের শেষ পর্বে ছিল শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উপস্থাপনায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

পছন্দের আরো পোস্ট