‘সুশাসন প্রতিষ্ঠায় পুলিশ ও গণমাধ্যমের কাজ অভিন্ন’

JnUJA Seminar-1সুশাসন প্রতিষ্ঠায় পুলিশ ও গণমাধ্যমের কাজ প্রায় অভিন্ন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় জগন্নাথ বিম্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে আয়োজিত এই সেমিনারে সাংবাদিক সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি সোহাইল মিয়া ও সাধারন সম্পাদক হাসান মাহমুদের কাছে সাংবাদিক সমিতির দায়িত্ব হস্তান্তর করেন, সদ্য বিদায়ী সভাপতি এস.এম আলামিন ও সাধারন সম্পাদক মাহবুব মমতাজী এসময় বর্তমান ও সাবেক সাংবাদিকসহ মোট ১৯ জনকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

 

ডিএমপি কমিশনার তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশে ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়র কর্মিরা যারা মাঠে কাজ করেন এবং যারা সম্পাদক ও প্রকাশক, তাদের সাথে আমাদের পেশাদারিত্বের অনেকটা মিল রয়েছে। মাঠে আমরা একসাথেই কাজ করি। কেননা, গণমাধ্যমের ভূমিকায় যেমন সত্যকে অনুসন্ধান করা যায়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রশাসন ও সরকারকে বাধ্য করা যায়, মানবাধিকার রক্ষায় ভূমিকা রাখা যায় এবং চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে নাগরিকের তথ্য জানানো সহ তাদের অধিকার সংরক্ষন করা ও নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করতে গণমাধ্যম যেভাবে ভূমিকা রাখছে, তেমনি আমাদের পুলিশের কাজও আইনের শাসন এবং জননিরাপত্তা দেওয়া। সেক্ষেত্রে আমরা এক ও অভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে থাকি।’

 

Post MIddle

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কর্মঘন্টা ১৫-১৬ ঘন্টা। সাংবাদিকদের সাথে আমাদের বেশীরভাগ সময় দেখা হয় রাস্তায়। কারন তাদের কর্মঘন্টা আমাদের মতই। মাঝে মাঝে সাংবাদিক ও পুলিশের মাঝে কোন কোন ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে ভিন্নমত থাকলেও দিন শেষে আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করি। আমরা উভয়ে সবসময় চেষ্টা করি মানুষকে কীভাবে ন্যায় বিচার দেয়া যেতে পারে এবং সত্যকে কীভাবে প্রতিষ্ঠা করা যায়, অসত্য-অন্যায়ের বিরুদ্ধে কীভাবে আমরা ন্যায়কে প্রতিষ্ঠা করতে পারি এই সুন্দর প্রচেষ্টা আমরা উভয়ের মাঝেই রয়েছে। সুশাসন থাকবেনা যদি মানবাধিকার আর আইনের শাসন না থাকে। আর সুশাসন যদি না থাকে তাহলে গণতন্ত্রও থকাকবেনা, উন্নয়নও সম্ভব নয়।’

 

এসময় তিনি উপস্থিত সমকালের নির্বাহী সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি ও সাংবাদিক নেতা শাবান মাহমুদ সহ অন্যান্য সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, এটাতে আসলে সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতা কতটুকু আছে? এই স্বাধীনতা সংবাদপত্রের মালিক, সম্পাদক বা প্রকাশকের স্বাধীনতা নাকি সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতা এটা নিয়ে আমার একটু দ্বিধা আছে।’

 

সেমিনারে জবিসাসের সদ্য বিদায়ী সভাপতি এসএম আলামিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মমতাজীর সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমকালের নির্বাহী সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাবান মাহমুদ।#

 

লেখাপড়া২৪.কম/মাসুম/আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট