মেয়ের সঙ্গে এসএসসি পরী্কষায় ৪৫বছর বয়সী মা
রাঁধেন, আবার চুলও বাঁধেন, সঙ্গে পরীক্ষাও দেন। তিনি সরিতা জাগাড়ে। নিজের কিশোরী কন্যার সঙ্গে জীবনে প্রথম বোর্ডের পরীক্ষায় বসলেন তিনি। সামাজিক বাধা, অস্বস্তি সবকিছু কাটিয়েই উত্তরণের হাতছানি তাঁর সামনে। নিজের ছোট মেয়ের সঙ্গেই এসএসসি পরীক্ষায় বসেছেন ৪৫ বছরের সরিতা। ভালো রেজাল্ট করার সংকল্পে অটুট তিনি।
স্কুল ছেড়েছিলেন প্রায় ৩৫ বছর আগে। অর্থের অভাবে ক্লাস ফাইভের পর আর পড়াশোনা করতে পারেননি সরিতা। এরপর বিয়ে হয়ে যায়। মুম্বইয়ের দাদারে স্বামী বিশ্বনাথ ও দুই মেয়েকে নিয়ে ব্যস্ত জীবন কাটালেও কোথায় যেন একটা ফাঁক ছিল। পড়াশোনা শেষ করতে না পারার দুঃখ গ্রাস করে রেখেছিল তাঁকে। সরিতার মনের কথা বুঝতে পেরে তাঁকে আবার পড়াশোনা শুরু করতে বলেন স্বামী বিশ্বনাথ। প্রথমে কিছুতেই রাজি হননি সরিতা। এই বয়সে ছোট মেয়ের সঙ্গে একসঙ্গে পড়াশোনা করলে লোকে হাসাহাসি করবে, এই ভেবে শঙ্কিত হন তিনি। কিন্তু স্বামীর আগ্রহে বাধো বাধো ভাব ছেড়ে নাইট স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়া শুরু করেন তিনি। তাঁর ছোট মেয়েও সেই সময় ক্লাস সিক্সে পড়ত।

ছোট মেয়ের সঙ্গে একসঙ্গেই পড়াশোনা করে এসএসসি পরীক্ষায় বসেছেন সরিতা। তবে মেয়ের সঙ্গে এক জায়গায় সিট পড়েনি তাঁর। প্রথম দিন পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার সময় অন্য পরিক্ষার্থীরা তাঁর দিকে বারবার অবাক চোখে তাকাচ্ছিল। কিন্তু সে সবে নজর না দিয়ে নিজের পরীক্ষা মন দিয়ে দেন সরিতা। শুধু এসএসসি নয়, এখন উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন তাঁর চোখে।
– সূত্র : এই সময়
লেখাপড়া২৪.কম/আরএইচ