ঘুরে দেখা রাশিয়ার প্রথম ​পারমাণবিক বিদ্যুৎ​কেন্দ্র

11304399_454923051351665_583632942_nজ্ঞানের তীর্থস্থান ভ্রমণ, সে তো জ্ঞানের অপূর্ণতা পূরণ। পরিদর্শন হলো চক্ষু কর্ণে বিবাদ বঞ্জন। তাই তো মানুষ ভ্রমণ ও পরিদর্শন করে স্থান–কাল নিমিত্তে দেশে–দেশে। তারই আকাঙ্ক্ষা ও উচ্চশিক্ষা লাভের আশায় জ্ঞান অর্জনের জন্য রাশিয়ায় আগমন। জ্ঞানের তীর্থযাত্রায় ওই তীর্থ স্থান পরিদর্শনের ব্যাকুলতা, মরুচারী বেদুইনের পানির তৃষ্ণার মতো। যে পরমাণু শক্তি দিয়ে আগামীর বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে বাঁচবে, উন্মোচিত হবে নবধারার দিগন্ত, নতুন দিনের সূর্য, প্রথম সুরুজের মতো, আমরাই হব তাদের কান্ডারি। কত শত মায়া মমতা ত্যাগ করে রাশিয়ায় পড়তে আসা পারমাণবিক বিজ্ঞান। মানুষ্য কল্যাণে ব্যবহৃত নিরাপদ ও সাশ্রয়ী পারমাণবিক শক্তি, পারমাণবিক পাওয়ার প্ল্যান্ট।

 

আজ থেকে পাঁচ যুগের বেশি আগে রাশিয়ার এই ছোট নগরে গড়ে উঠেছিল তার প্রথম ভিত্তি প্রস্তর—১৯৫১ সালে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর প্রথম দিন থেকে মনে কৌতূহল, কবে হবে দেখা রাশিয়ার প্রথম ​পারমাণবিক বিদ্যুৎ​কেন্দ্র। ছোট শহর অবনিস্কের বাইরে নদীর কূল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে পৃথিবীর প্রথম নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্র। নগর জীবনের ক্লান্তি দূর করার জন্য, নদীমাতৃক বাংলার খোঁজে প্রায়শ নদীর ধারে বসে ভাবতাম, কবে দেখব স্বচক্ষে দুই নয়ন জুরিয়ে অসম্ভব, অভূতপূর্ব সাফল্যের নিদর্শন। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের চিমনিটা, তালগাছের মতো এক পায়ে দাঁড়িয়ে উঁকি দিচ্ছে ওই আকাশে, আমাকে দূর থেকে হাতছানি ডাকছে।

 

এক সময় যা ছিল অতি গোপন, লোকচক্ষুর আড়ালে, আজ তা সবার জন্য উন্মুক্ত। কিন্তু ভ্রমণের অনুমতি সময় সাপেক্ষ। কখনো তা মাস দু-এক সময় লেগে যায়। তা ছাড়া ভাষার জটিলতা বিবেচনায় আমাদের ডিন, যার আন্তরিকতা প্রশ্নাতীত, তার কল্যাণে আমাদের জন্য আয়োজন করা হলো ওই তীর্থস্থানে পদধূলিত করার। তত দিনে আমরা পৃথিবীর জটিল ও বৈচিত্র্যময় সাহিত্যের ভাষা রপ্ত করে ফেলেছি। আমাদের প্রাথমিক পর্যায়ের কোর্সও ক্রান্তিলগ্নে।পারমাণবিক বিদ্যুৎ​কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণকক্ষ। সংগৃহীত ছবি

 

পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী আমরা সকলে, বাংলাদেশের দশজন ও ভিয়েতনামের দশজন মোট বিশজনের একটা দল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিনিবাসে করে যাত্রা করলাম। মনের ভেতর কেমন জানি একটা শিহরণ অনুভূত হতে লাগল। দেখতে যাচ্ছি পৃথিবীর প্রথম, গোপন তথা মানব কল্যাণে ব্যবহৃত পারমাণবিক বিজ্ঞানের তীর্থস্থান। প্রথমে এসে নামলাম নিউক্লিয়ার মিউজিয়ামের অথোরিটি বিভাগের সামনে। কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা করে রাখা শিক্ষার্থী বাস যথারীতি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল। দুজন গাইড এসে আমাদের সবাইকে নিয়ে গেলেন দুরের প্রধান নিউক্লিয়ার পোস্টে। বাস থেকে নেমেই টের পেলাম নিরাপত্তাজনিত বাধ্যবাধকতা। নিরাপত্তা ব্যাপারটা সেনাবাহিনী কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। মূল্যবান জিনিস, মোবাইল ফোন, ক্যামেরা সবই লকারে রেখে শুধুমাত্র নিজের পাসপোর্ট নিয়ে সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়ালাম। নামের ক্রম অনুসারে ডাক পড়ল সবার। কড়াকড়ি নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পন্ন করে আবার বাসে ওঠা। এবার শত মিটারের পথ অতিক্রম করে এসে উপস্থিত হলাম কাঙ্ক্ষিত সেই তীর্থস্থানে। রাশিয়ার বিজ্ঞানের শহর হিসেবে পরিচিত অবনিস্কে ১৯৫১ সালের ১ জানুয়ারি নির্মাণ শুরু হয় প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। যা মস্কো থেকে দক্ষিণ পশ্চিম দিক থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে কালুগা রিজিয়নে অবস্থিত। ১৯৫৪ সালের ২৬ জুন রাষ্ট্রীয় কোম্পানি রোসাতম বাণিজ্যিক ভাবে বিশ্বে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে।

 

বাস থেকে নামার পর এদিক-ওদিক তাকিয়ে দেখলাম। আমাদের সামনে অবস্থিত তিনতলা ভবনটিতে বড় সড় করে লেখা পৃথিবীর সর্ব প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। একজন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি এসে আমাদের অভিবাদন জানালেন। প্রথমেই তিনি জানালেন নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের ইতিহাস ও কখন কীভাবে কার্যকরণ সম্পন্ন হলো। দিন তারিখ ও কার্যকরণের উল্লেখ আছে মূল ভবনের বাইরে স্থাপিত চারটি ভিত্তি প্রস্তরের গায়ে কৃষ্ণবর্ণের রাশিয়া ভাষায়।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ​কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণকক্ষ। সংগৃহীত ছবি

 

তারপর সবাই ড্রেসিং রূপে গিয়ে অ্যাপ্রোন, টুপি আর জুতার আবরণী পরে ভবিষ্যৎ পারমাণবিক প্রকৌশলীর পূর্ববর্তী বাস্তব রূপ লাভ করলাম। কেমন জানি একটা ইঞ্জিনিয়ারসুলভ ভাব ও ভঙ্গি চলে এল সবার মাঝে অজান্তেই। আমাদের দর্শনার্থী সঞ্চালক ষাটোর্ধ্ব যুবক। তিনি একে একে ব্যাখ্যা করলেন গ্রিক দার্শনিক ডেমোক্রেটিস থেকে শুরু করে আইনস্টাইনের যুগ পার করে আধুনিক যুগ পর্যন্ত। তাদের মধ্য থেকে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনে, তাদের ছবি দেয়ালে ঠাসা। তারাই স্থান করে নিয়েছেন অমরত্বের স্থির ফ্রেমে। তার মধ্য বিশেষ অসামান্য অবদান ছিল নিউক্লিয়ার পদার্থবিদ ইগর ভাসিলিবিচ কোরচাতরের। ডান দিকে টার্ন করে আমরা ঢুকলাম জরুরি অবস্থা ও রেডিয়েশনে পরিমাপক কক্ষে। দেয়ালে টাঙানো বিশেষ ভাবে তৈরি প্লাস্টিক সদৃশ্য রেডিয়েশন প্রতিরোধক অ্যাপ্রোন। তিনি ব্যাখ্যা করলেন কীভাবে রিঅ্যাক্টর থেকে বিভিন্ন নল বেয়ে পানি আসে ও রেডিয়েশন পরিমাপ ও তাপমাত্রাসহ অন্য ক্রিয়ার সাক্ষ্য পাওয়া যায়। সবাই মনোযোগী শ্রোতার মতো বর্ণনা শুনছেন। মাঝে মাঝে প্রশ্নোত্তর।

 

এবার দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যাওয়া হলো আমাদের। দেখানো হলো কেন্দ্রটি স্থাপনের সময়কার যন্ত্রপাতি, পরিবহন যান, তেজস্ক্রিয় বর্জ্য বাহক, বর্তমান সময়কার বিভিন্ন যন্ত্রপাতির প্রতিচ্ছবির রঙিন কাগজে স্থির ফ্রেমে বাধানো। আরও দেখতে পেলাম পারমাণবিক শক্তির সেকাল, একাল ও পরকাল। পারমাণবিক শক্তি চালিত স্পেসশ্যাটল, মোটরযান ও তাদের নকশা ইতিমধ্যে অনেক কিছু বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রবেশ করলাম ছোট একটা কামরায়, যেখানে রাখা আছে বিভিন্ন উপকরণ, যার সমন্বয়ে এই বিশাল মহা বর্জ্য জটিল কার্যটি সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখযোগ্য উপকরণ রিঅ্যাক্টরের চারপাশের আচ্ছাদিত কংক্রিট, ফুয়েল রডের পাইপ সেকেল বিভিন্ন পারমাণবিক যন্ত্র, আরও নাম না জানা অনেক কিছু। পাশেই রাখা আছে বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানের উক্তি।বন্ধ হয়ে যাওয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে শিক্ষার্থীরা

 

Post MIddle

অতঃপর ডানদিকে টার্ন করে আমরা প্রবেশ করলাম এমন একটা কক্ষে। যেখানে রেডিয়েশন পরিমাপক যন্ত্র, তাপমাত্রা পরিমাপকসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি রাখা আছে। তিনি ব্যাখ্যা করলেন কীভাবে রিঅ্যাক্টর থেকে বিভিন্ন নল বেয়ে পানি আসে। তা থেকে রেডিয়েশনের পরিমাপ ও তাপমাত্রার পাঠসহ অন্যান্য ক্রিয়া বিক্রিয়ার সাক্ষ্য পাওয়া যায়। ওই কক্ষের দেওয়ালে টাঙানো আছে প্রথম, বিশেষ ভবে তৈরি প্লাস্টিকসদৃশ্য রেডিয়েশন প্রতিরোধক অ্যাপ্রোন। সবাই মনোযোগী শ্রোতার মতো সঞ্চালকের বর্ণনা শুনছে। মাঝে মাঝে প্রশ্নোত্তর পর্বও চলল। নিজের ভেতর কেমন জানি এক ভাব আবেগহীন অনুভূতি সঞ্চালিত হলো। সে যেন তুষার শীতল হিম শুভ্রতা।

 

এতক্ষণ যাবৎ আমরা যা শুনলাম, যা দেখলাম, যা কিনা বুঝতে চেষ্টা করলাম, সে সবকিছুই একটি স্থানকে কেন্দ্র করে, আর তা হলো রিঅ্যাক্টর। অদ্যাবধি দেখা হয়নি চক্ষু মেলিয়া, ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের বিবাদ বঞ্জন করিয়া। এবারের গন্তব্য সেখানটায়। সঞ্চালক বলেছিলেন রিঅ্যাক্টরের ব্যাস ৬ মি আর গভীরতার উচ্চতা ৮ মি। এক্স-রে ডায়াগ্রামেও তার উল্লেখ আছে, দেওয়ালে টাঙানো ছবিতে। একটা সরু পথ দিয়ে যেতে হয় রিঅ্যাক্টরের কাছে। পথের পাশে রিঅ্যাক্টরকে পর্যবেক্ষণের জন্য ও পরিপূর্ণ অংশটা দেখার জন্য তিনটা চোখ আছে। যাকে বলা হয় ত্রিনয়ন। ত্রিনয়নে দেখতে হলে, ত্রিনয়ন থাকা চাই। আমি ভেবে পাই না, মানুষের ত্রিনয়নটা কীভাবে সম্ভব? ওই তিনটি চোখ দিয়ে রিঅ্যাক্টরের পূর্ণাংশের বিভিন্ন খণ্ডাংশ আলাদাভাবে দেখা যায়। কেননা, একটি চোখ দিয়ে সম্পূর্ণ অংশ দেখা সম্ভব নয়। তাই আমার নয়ন যুগল দিয়ে, একটা করে চোখের ভেতর দিয়ে, পর্যায়ক্রমে ত্রিনয়ন দিয়ে সম্পূর্ণ অংশ প্রত্যক্ষ করলাম।

 

রিঅ্যাক্টরের বেসে নাসার আগে একটা ওয়াচ টাওয়ার আছে। ওয়াচ টাওয়ারে দাঁড়িয়ে থাকলে অদূরের রিঅ্যাক্টর হাতছানি দিয়ে ডাকে। দেরি আর সহ্য হচ্ছিল না। তাই সবার আগে আমিই নেমে পড়লাম রিঅ্যাক্টর বেসের গ্রাউন্ডে। আমি রিঅ্যাক্টরের ওপর ঠায় দাঁড়িয়ে। শরীরে শিহরণ জাগানো অনুভূতি। পায়ের নিচে তেজস্ক্রিয় পানি আর শক্তিগর্ভ। যদিও তার ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেছে এবং তা যুগ অতিক্রম করেছে। তারপরও গা ছমছমে অনুভূতি। একে একে সকলেই নেমে এলো। ইনস্ট্রাক্টর নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা করলেন। তার কথায় আমরা মুগ্ধ, যদিও তার মাঝে রসবোধের একটু অভাব, কিন্তু আমাদের আগ্রহে তা উপেক্ষিত। আবারও সবাই রিঅ্যাক্টরের ওপরে ছবি তোলা। ছবি তোলার পালা শেষ করে একটা সুড়ঙ্গ পথে প্রস্থান করলাম। আবারও সেই গ্রাউন্ড ফ্লোরে এসে উপস্থিত হলাম, সেখান থেকে শুরু করেছিল পাওয়ার প্ল্যান্ট পরিদর্শন। রিঅ্যাক্টর বেস, যে লেভেলটায় রিঅ্যাক্টর বসানো তা গ্রাউন্ড ফ্লোর হতে একটু নিচু।
লেখক

 

তারপর দেখলাম বিভিন্ন রাষ্ট্র প্রধানের ছবি ও দিনপঞ্জিকা সংবলিত স্মারকলিপি। সকল ছবি দেয়ালে দেয়ালে স্থির ফ্রেমে বাঁধানো। এবার ড্রেসিং রুমে এসে অ্যাপ্রোন, টুপি খুলে, অফ ড্রেস হয়ে বাইরে এসে একটা মিষ্টি সুবাতাসের নিশ্বাস নিলাম। অন্তরে অমৃত না থাকিলে যেমন মুখ দিয়ে গরল বের হয় না, ঠিক তেমনি এতক্ষণে যা লিখলাম, কলমের ঘূর্ণনে যা বহিঃপ্রকাশ হলো, তা গরল মাত্র।

 

এরই মধ্যে ঘড়ির ঘণ্টার কাটা ৯০ কোণে স্থানচ্যুত। মানে তিন ঘণ্টা সময় পার হয়ে গেছে। আবারও মূল ভবনের বাইরে স্মৃতিফলকে দাঁড়িয়ে ইনস্ট্রাক্টর বর্ণনা করলেন কোন দেশে কত সংখ্যক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট আছে। কতটুকু বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। ভবিষ্যৎ রিঅ্যাক্টর সম্পর্কেও বললেন। ততক্ষণে ফেরার বাসটি চলে এসেছে। এবার ফেরার পালা।

 

রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি রোসাতম নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করবে বাংলাদেশে। তা পরিচালনার জন্য চাই দক্ষ জনবল। দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে রাশিয়া বাংলাদেশি ছাত্রদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি ঘোষণা করে ২০১৪ সালে। ঢাকার রাশিয়ান সংস্কৃতি ও শিক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে ছাত্র নির্বাচন করা হয়। নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক ও রেজাল্টের ভিত্তিতে। রোসাতমের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিউক্লিয়ার ডিপার্টমেন্টের ডিন ও আন্তর্জাতিক শিক্ষাকেন্দ্রের ডিন, উভয়ে ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার রিসার্চ বিশ্ববিদ্যালয় MEPhI। মোট তিনজন ঢাকায় গিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে আমাদের দশ জনকে নির্বাচিত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর আরও ২৫ জন আসছেন আগামী সেপ্টেম্বরে।

 

বস্তুত বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈতনিক শিক্ষার অর্থাৎ​ বিনা বেতনে ও খরচে লেখাপড়া করার সুযোগ। কিন্তু রাশিয়ায় খাওয়া দাওয়া জীবনযাত্রার মান খুবই ব্যয়বহুল। আমাদের সহ শিক্ষার্থীরা ভিয়েতনাম, তুরস্ক, জর্ডান থেকে আগত।

 

 

(লেখক শিক্ষার্থী, জাতীয় পরমাণু গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়, রাশিয়া)

পছন্দের আরো পোস্ট