নেপটিস আবিস্কারক বেলাল হোসেনকে সংবর্ধনা
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য ও সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ বেলাল হোসেন ও অস্ট্রেলিয়ান মিউজিয়াম এর বিশিষ্ট পলিকীট বিজ্ঞনী ড. প্যাট হ্যাচিংস বাংলাদেশের নোয়াখালী উপকূলীয় অঞ্চল থেকে নেপটিস বাংলাদেশী (Nypthus bangladeshi) নামে পলিকীটের নতুন একটি প্রজাতি আবিস্কার করেন। এ অবদানের কারণে বিভাগের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ড. মোহাম্মদ বেলাল হোসেনকে সংবর্ধনা প্রদানের লক্ষ্যে দুপুর ১২টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে এক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো: মমিনুল হক উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও এফআইএমএস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব মেহেদী মাহমুদুল হাসান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও সভাপতি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিভাগের শিক্ষক জনাব মো: গোলাম মোস্তফা, জনাব মাহাবুবুর রহমান ও ছাত্র মামুনুর রশিদ প্রমুখ।
মাননীয় উপাচার্য তাঁর বক্তব্যের শুরুতে নেপটিস বাংলাদেশী আবিস্কার করায় এফআইএমএস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল হোসেনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ড. বেলাল একজন আন্তর্জাতিক মানের গবেষক-বিজ্ঞানী। নেপটিস বাংলাদেশী আবিস্কারের মাধ্যমে যা আন্তর্জাতিক অঙ্গণে স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে ড. বেলালের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে শিক্ষা ও গবেষণায় আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
মাননীয় উপাচার্য বলেন, শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সর্বোপরি এ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে একটি বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করার জন্য তিনি যোগদানের পর থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যার প্রেক্ষিতে আশা করা যাচ্ছে আগামী কিছু দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের কোন প্রকার গুজনে কান না দিয়ে নিবিড় মনে শিক্ষা ও গবেষণায় আত্মনিয়োগ করে নিজেদেরকে বর্তমান যুগের একজন দক্ষ, সৎ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রেজিস্ট্রার মহোদয় বলেন, ড. বেলাল হোসেন আপদমস্তক একজন শিক্ষক, গবেষক ও ভদ্র লোক। যোগদানের পর থেকে তিনি শিক্ষা গবেষনায় নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তাঁর এ কাজের ফল অর্জিত হয়েছে। রেজিস্ট্রার মহোদয় আশা প্রকাশ করে বলেন, মাননীয় উপাচার্যের দৃঢ় মনোবল ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় এ বিশ্ববিদ্যালয় স্বল্পতম সময়ের মধ্যে একটি বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে রূপ লাভ করবে। পরিশেষে তিনি শিক্ষার্থীদেরকে ড. বেলালের শিক্ষা ও গবেষনার দৃষ্টান্ত অনুসরণপূর্বক নিজেদেরকে শিক্ষা ও গবেষণায় আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
সভার মূল আকর্ষণ সংবর্ধিত আবিস্কারক ড. মোহাম্মদ বেলাল হোসেন আবিস্কারের পেছনে দীর্ঘ গবেষণার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি এ আবিস্কারকে ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সমগ্র বাংলাদেশ সহ বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি উৎসর্গ করেন। তিনি বলেন, এ আবিস্কারের ফলে বাংলাদেশের নাম বিশেষ করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বিশ্বের গবেষণার জগতে ছড়িয়ে পড়বে। ফলশ্রুতিতে আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে সক্ষম হবো। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে এ ধরণের গবেষণা ও আবিস্কারের স্বপ্ন দেখে বাস্তব কর্ম এগিয়ে নিতে আহ্বান জানান। সভার শেষ পর্যায়ে তিনি তাঁর আবিস্কারের উপর তৈরিকৃত ডিসপ্লে শিক্ষার্থীদের পরিদর্শন করান। পরিশেষে উপাচার্য মহোদয় ড. বেলাল হোসেনকে ক্রেস্ট প্রদান করেন।
লেখাপড়া২৪.কম/নোবিপ্রবি/পিআর/এমএএ