ঝুঁকিপূর্ণ সাকো পারাপারে শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগ

sako-2পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের চরবলইকাঠী-খারিজ্জমা এলাকায় দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ ধরান্দি-পাতাবুনিয়া নদীর ওপর সেতুর অভাবে স্থানীয়ভাবে বাঁশ দিয়ে নির্মিত ৩০০ ফুট ঝুকিপূর্ণ সাকো দিয়ে শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ পারাপার হচ্ছে।

 

নদীটির অপর পাড়ে স্কুল কলেজ, এসএসসি পরিক্ষার কেন্দ্র ও ব্যাবসা বানিজ্যের মূল কেন্দ্র বিন্দুসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন স্থানের সাথে যোগাযোগে জন্য পাড়াপাড় হওয়ার সময় অনেকেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন। ওই নদীর উপর ব্রিজ র্নিমিত হলে পাল্টে যাবে ১০ গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষের জীবন-যাত্রা মান। পাশাপাশি বেকার যুবদের আত্মকর্মসংস্থান তৈরিতে দাঁড়াতে পারবে নিজেদের পায়ে, সচ্ছল হবে শত শত পরিবার।

 

জানা গেছে, সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের চরবলইকাঠী-খারিজ্জমা নদীর ওপর স্বাধীনতার পূর্ব থেকে এলাকাবাসী একটি ব্রীজের দাবী করলেও দীর্ঘ সময়ে তা বাস্তবায়ন হয়নি। এর বদলে জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে পেয়েছে শুধুই আশ্বাস। ফলে দীর্ঘ অপেক্ষার পর স্থানীয় গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে নির্মাণ করেছে বাঁশের সাকো। কিন্তু কিছুদিন যেতেনা যেতেই সেই সাকো নড়বড়ে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই ঝুকিপুর্ণ সাঁকো দিয়েই বাধ্য হয়ে চলাচল করছে মানুষ।

 

Post MIddle

এলাকায় কোন হাসপাতাল, স্কুল , কলেজ, বাজার না থাকায় মুমূর্ষু রোগীর জরুরী চিকিৎসার প্রয়োজন হলেও ওই নড়বড়ে সাকোর উপর দিয়ে হাসপাতালে নেয়া দুরূহ ব্যাপার হয়ে পড়ে। অপর পাড়ে খারিজ্জমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, বাজারে প্রতিদিন এক হাজার ছাত্র-ছাত্রী, কয়েক হাজার ব্যাবসায়ী ও পথচারী পারাপার হয়। কমবয়সী শিক্ষার্থীরা ঝুকিপূর্ণ ওই সেতু পার হয়ে প্রতিনিয়ত স্কুলে যাওয়া আসা করে।

 

খারিজ্জমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকা-ইশরাত জাহান বলেন, ওই সাকো পারাপার হতে গিয়ে অনেক ছেলে-মেয়ে নিচে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে। অনেকেরই বই-পত্র পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। সেতুর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এলাকাবাসীসহ বহুবার আবেদন করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাকাহিদ হোসেন ও চেয়ারম্যান তারেকুজ্জামান মনি জানান, সাকো সংস্কারের জন্য খুব দ্রুত আর্থিক বরাদ্ধ দেয়া হবে এবং ব্রিজ নির্মানের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে সুপারিশপত্র পাঠানো হবে।

 

জেলা প্রশাসক একেএম শামিমুল হক  খুব দ্রুত জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে রাস্তাঘাট, স্কুল কলেজ, খেলার মাঠ, বিদুৎ শূন্য পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের চরবলইকাঠী গ্রামের স্থানীয় জনগনের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি কথা বলে তাদেও সম্যসা গুলো চিহ্নিত করে ব্যাবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে তথ্য সুত্রে জানা গেছে।#

 

লেখাপড়া২৪.কম/আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট