অনলাইন লেনদেনে ভোগান্তি কমাবে ভার্চুয়াল কার্ড

IMG_3559২৩ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) ব্যক্তিপর্যায়ের অ্যাপস ডেভেলপার বা প্রোগ্রামারদের অনলাইন পেমেন্ট সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বেসিসের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলো। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক সকল ব্যাংককে ভার্চুয়াল কার্ড চালুর নির্দেশনা দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারন্যাশনাল ভার্চুয়াল ক্রেডিট কার্ড চালু করেছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড। মঙ্গলবার বেসিস ও ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল কার্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

 

বেসিস সভাপতি ও এফবিসিসিআই পরিচালক শামীম আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে.এস. তাবরেজ ও বেসিসের পরিচালক সানি মো. আশরাফ খান। উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, মহাসচিব উত্তম কুমার পাল, যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, কোষাধ্যক্ষ শাহ ইমরাউল কায়ীশসহ ডাচ-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি শামীম আহসান বলেন, বিভিন্ন ধরনের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) অনলাইন বাজারে ছাড়ার জন্য বিশ্বখ্যাত অ্যাপ স্টোরে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে নিবন্ধিত হতে হয়। এছাড়া অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কোর্স কিংবা ডোমেইন কেনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেমের প্রয়োজন হয়। এ অর্থ দেওয়ার সহজ সুবিধা না থাকায় বাংলাদেশের ব্যক্তিপর্যায়ের অ্যাপস নির্মাতা বা প্রোগ্রামাররা অনেকেই নানা সমস্যার মধ্যে ছিলেন।

 

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলো বেসিস। বেসিসের দাবি এবং অ্যাপস ডেভেলপার ও প্রোগ্রামারদের সমস্যার কথা বিবেচনায় নিয়ে বিশেষ ‘ভার্চুয়াল কার্ড’ চালুর নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আমরা প্রত্যাশা করি এই কার্ডের মাধ্যমে ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনলাইন লেনদেনে যে ভোগান্তি ছিলো তা দূর হয়ে যাবে। ফলে আমাদের তরুণরা তাদের মানোন্নয়ন ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পেশায় সম্পৃক্ত হতে আরও আগ্রহী হবে।

 

Post MIddle

বছরখানেক আগে বৈদেশিক মুদ্রা (এফই) বিজ্ঞপ্তি নং ২৩-এ ভার্চুয়াল কার্ড চালুর জন্য বিভিন্ন ব্যাংককে অনুমোদন দেওয়া হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড তাদের দেশব্যাপি সকল শাখায় এই সেবা চালু করেছে।নির্দেশনা অনুযায়ী এই কার্ড গ্রহণের জন্য আবেদনকারীকে প্রোগ্রামার, ডেভেলপার বা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে প্রমাণ দেখাতে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) থেকে অনুমোদন নেওয়া যাবে।

 

এই কার্ড পেতে হলে বেসিস বা আইসিটি ডিভিশনের দেওয়া মোবাইল অ্যাপ/ গেইম/হাকাথন ইত্যাদির সার্টিফিকেট প্রমাণ হিসেবে দেখাতে হবে ও ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে হবে। এর আগে বেসিসের সদস্য কোম্পানিরা এ ধরণের সুবিধা পেতেন। এখন থেকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে দেশের যেকোনো জায়গা থেকে ভার্চুয়াল কার্ড গ্রহণ করা যাবে।

 

এ কার্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে (উইন্ডোজ, অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস, ব্ল্যাকবেরি, ফায়ারফক্স ইত্যাদি) গেমস, সফটওয়্যার লাইসেন্স, মোবাইল কিংবা গেমস অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, ভেন্ডর সার্টিফিকেশন পরীক্ষার ফি, যেকোনো ডোমেইন নিবন্ধন, হোস্টিং, ক্লাউড সেবা, হ্যাকাথন ইত্যাদি ক্ষেত্রে বছরে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার অর্থ পরিশোধ করা যাবে। ফলে আন্তর্জাতিক লেনদেনে ডেভেলপার বা প্রোগ্রামারদের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান মিলবে এই ভার্চুয়াল কার্ডের মাধ্যমে।

 

লেখাপড়া২৪.কম/পিআর/এমএএ

পছন্দের আরো পোস্ট