উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে থ্যালাসেমিয়া বাহক নির্ণয়
উত্তরা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর এম আজিজুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশকে থ্যালাসেমিয়া রোগ মুক্ত করতে উত্তরা ইউনিভার্সিটি ভূমিকা রাখবে। এজন্য ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা ও কর্মচারিারা যার যার অবস্থান থেকেও মানুষকে এ রোগ সম্পর্কে সচেতন করতে ভূমিকা রাখবেন। তিনি থ্যালাসেমিয়া সমিতি ও সোসাইটি ফর থ্যালাসেমিয়া অ্যাওয়ারনেস-কে সবধরনের সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দেন।
প্রফেসর ডক্টর এম আজিজুর রহমান উত্তরা ইউনিভার্সিটি ও সোসাইটি ফর থ্যালাসেমিয়া অ্যাওয়ারনেস-এর যৌথ আয়োজনে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও বাহক নির্ণয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। সোমবার দুপুরে উত্তরা ইউনিভার্সিটির আইকিউএসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে সহায়তা করে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সোসাইটি ও বাংলাদেশ ব্যাংক ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর ইয়াসমীন আরা লেখা বলেন, কারো অধিকার নেই অসুস্থ শিশুর জন্ম দেয়ার। তাই সচেতনতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে থ্যালাসেমিয়া মুক্ত করতে হবে। ডক্টর লেখা বলেন, পোলিও মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে আমরা থ্যালাসেমিয়া রোগ মুক্তও হতে পারবো। তিনি নগরবাসীকে সচেতন করতে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসে উত্তরা ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে শোভাযাত্রা করার ঘোষণা দেন।
উত্তরা ইউনিভার্সিটির স্কুল অব বিজনেস-এর ডীন প্রফেসর ড. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অপর বিশেষ অতিথি থ্যালাসেমিয়া সমিতি ও হাসপাতালের সিওও এবং কনসালটেন্ট (প্রজেক্ট ডেভেলপমেন্ট) ডা. একেএম একরামুল হোসেন স্বপন বলেন, যুব সমাজকে সচেতন হলে দেশ থ্যালাসেমিয়া মুক্ত হবে। একজন থ্যালাসেমিয়া বাহক আরেকজন বাহককে বিয়ে না করে এই রোগটি প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। সোসাইটি ফর থ্যালাসেমিয়া অ্যাওয়ারনেস-এর চেয়ারম্যান রাকিবুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে জানান, দেশের প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ থ্যালাসেমিয়া বাহক।
বক্তারা প্রত্যেক সুস্থ মানুষকে চার মাস অন্তর রক্তদানের মাধ্যমে এ মরণব্যাধিতে আক্রান্তদের পাশে দাড়ানোর অনুরোধ জানান। পরে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী থ্যালাসেমিয়া জীবাণু চিহ্নিত করতে হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রফোরেসিস পরীক্ষায় অংশ নেন।##
লেখাপড়া২৪.কম/এমএইচ