বেরোবিতে মাতৃভাষা দিবসে নানা কর্মসূচি
বেগম রোকেয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। ভাষা আন্দোলনসহ বাংলার সকল মুক্তি সংগ্রামে শহীদদের স্মরণে রাত ১২টা এক মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী স্বাধীনতা স্মারকের পাদদেশে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
এছাড়া সকাল ১০টায় একই স্থানে পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, আবাসিক হল এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীর, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মতিউর রহমান, প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) মোঃ শাহীনুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবীর নেতৃত্বে ক্যাম্পাস থেকে একটি একুশে-স্মরণ র্যালি বের হয়ে মডার্ণ মোড় হয়ে স্বাধীনতা স্মারকে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, আবাসিক হলের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহণ করেন। সকাল ৯টায় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
পরে মহান শহীদ দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটরিয়া ভবনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। উপাচার্য বলেন মহান একুশ বাঙ্গালি জাতির একটি অর্জন। আর এমন অনেক অর্জন মিলেই আমাদের স্বাধীনতা। সুতরাং মহান শহীদ দিবস শুধু ভাষা আন্দোলনের মধ্যেই সিমাবদ্ধ নয় এটি স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি অংশ।
উপাচার্য তাঁর বক্তৃতায় ‘বাঙ্গালি সাঁজতে নয় বরং বাঙ্গালি হয়ে একুশের চেতনা লালন করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সফলতার কথা উল্লেখ করে বলেন ‘দেশ অনেক এগিয়ে চলেছে। এভাবে এগিয়ে নিতে পারলে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যেই দেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হবে। তবেই একুশের প্রকৃত চেতনার বাস্তবায়ন হবে। এজন্য তিনি সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মতিউর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আর এম হাফিজুর রহমান এবং উপাচার্যের সহধর্মিনী মিসেস গুল নাহার নবী। উদযাপন কমিটির আহবায়ক ড. নিতাই কুমার ঘোষ-এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন রেজিস্ট্রার বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীর, প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) মোঃ শাহীনুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাবিউর রহমান প্রধান, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উমর ফারুক প্রমুখ।##
লেখাপড়া২৪.কম/এমএইচ