বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন ফিরোজের
এইচএসসি পড়ার সময় থেকেই বিসিএস নিয়ে ভাবনা শুরু। ধীরে ধীরে সেই ভাবনাগুলো রূপ নেয় স্বপ্নে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে প্রতিটি দিন তাড়া করছে। জীবনের সেই স্বপ্নকে লালন করে নিয়মিত কাজ করছেন। বিভাগের পড়াশোনার বাইরে স্বপ্নপূরণে এগিয়ে যাচ্ছেন ফিরোজ আহমেদ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ২০১৩ সালে ভর্তি হন। দর্শনকে ভালোবেসে ভর্তি হওয়ার পর কেটেছে তিনটি বছর। জীবনের স্বর্ণ সময়গুলো পার করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায়। পথ চলতে দেখা হচ্ছে অনেক জ্ঞানী মানুষের। ভালোবাস পাচ্ছেন স্বপ্নজাগানিয়া বড় ভাইদের।
ফিরোজ বলছিলেন, দর্শনের একটি কথা তাকে সাহসী করে। ‘মানুষ হও, মরে বাঁচ’-দার্শনিক হেগেলের এই কথাটি তার চলার পাথেও। সব ভালোলাগা-ভালোবাসা যেন মিশে গেলো ওই একটি কথার মাঝে। জীবনের চাওয়াগুলো ফিরে ফিরে আসে সেই কথার ভেতরে।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খোর্দ আইলচারা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে এসএসসি এবং কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১২ সালে এইচএসসি পাশ করেন ফিরোজ। ২০১২ সালটি জীবনে আনন্দ ছড়ায় তার। ওই সময়ে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির পর বিনোদপুরের একটি ছাত্রাবাসে কেটেছে দেড় বছর। এরপর আবাসিকতা পান বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম (এসএম) হলে।
বড়ভাইদের সঙ্গে আড্ডাবাজিতে হলের সময়গুলো আনন্দময় হয়ে ওঠে। জীবনের স্বপ্নগুলো পাখা মেলতে থাকে আপন ভূবনে। ভেতরে সাহস জাগে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জকে জয় করার।
এপিজে আব্দুল কালামের ‘ড্রিম, ড্রিম, ড্রিম। ড্রিমস ট্রান্সফর্মস ইন্টু থটস এন্ড থটস রেজাল্ট ইন অ্যাকশন’-এই কথার মাঝে মোহনীয় শক্তি খুঁজে পান। কাজকে আরও গতিশীল করে। বলছিলেন ফিরোজ।
ফিরোজের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নাজির পুর গ্রামে। বাবা মায়ের বড় ছেলে ফিরোজ। তাই পরিবারের প্রতি দায়িত্বও অনেক। সেই দায়িত্বভার মাথায় নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে আগ্রহী তিনি। নিজেকে কাজে লাগাতে চান সমাজ ও দেশের জন্যও।#
লেখাপড়া২৪.কম/তমাল/আরএইচ