কুয়েটে আইসিসিইএসডি আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
![????????????????????????????????????](http://static.lekhapora24.com/wp-content/uploads/2016/02/ICCESD-201612.02.16.jpg)
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এ শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তিন দিনব্যাপী ৩য় “ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ফর সাসটেইন্যাবল ডেভেলপমেন্ট (আইসিসিইএসডি ২০১৬)” শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুরু হয়েছে। পুরকৌশল বিভাগের আয়োজনে এবং কালিন্ডি রেইল ইঞ্জিনিয়ার্স লিঃ, সেভেন রিংস সিমেন্ট ও ম্যাক্স গ্র“প এর সহযোগিতায় কুয়েট অডিটরিয়ামে সকাল ১০টায় কনফারেন্সটির শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সদস্য প্রফেসর ড. আব্দুল জব্বার খান।
![????????????????????????????????????](http://static.lekhapora24.com/wp-content/uploads/2016/02/ICCESD-2016-12.02.2016.jpg)
![Post MIddle](https://lekhapora24.net/wp-content/uploads/2022/03/920X80.gif)
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, কনফারেন্সের মূল প্রতিপাদ্য সাসটেইন্যাবল ডেভেলপমেন্ট বিষয়টি এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে, জীবনের মান উন্নয়নে এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে একটি উন্নত ও নিরাপদ ভবিষ্যত উপহার দিতে সাসটেইন্যাবল অর্থাৎ দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। উন্নয়নের এই সময়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের পর্বতসম সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের মাধ্যমে তাঁরা সহজেই উন্নয়নের পর্বতের চুড়ায় আরহন করতে সক্ষম হবে। বিশ্ব এবং বাংলাদেশ সবক্ষেত্রেই সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা অগ্রগামী, এই অগ্রযাত্রাকে আরো বেগবান করতে উন্নয়নকে সাসটেইন্যাবল তথা র্দীর্ঘস্থায়ী করতে হবে।
কুয়েট ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেলে পরিনত হয়েছে। এক্ষেত্রে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সাসটেইন্যাবল ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে সিভিল ইঞ্জনিয়াররাই ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশকে কাংখিত উন্নয়নের পথে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মংলা পোর্ট অথরিটির চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাড. রিয়াজউদ্দীন আহমেদ ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ডাইরেক্টর জেনারেল (ডিজি) ইঞ্জি. মোঃ আমজাদ হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা প্রদান করেন সম্মেলনের চেয়ার প্রফেসর ড. মোঃ কেরামত আলী মোল্লা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তৃতা করেন সম্মেলনের সেক্রেটারি প্রফেসর ড. আবু জাকির মোর্শেদ। উদ্বোধনী দিনে কী-নোট সেশনে স্পীকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. ফিরোজ আহমেদ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের ডিজি ইঞ্জি. মোঃ আমজাদ হোসেন।
সম্মেলনে মোট ২টি কী-নোট সেশন থাকবে এবং ২১টি টেকনিক্যাল সেশনে মোট ১৫৯টি টেকনিক্যাল পেপার উপস্থাপিত হবে। সম্মেলনে জাপান, পোল্যান্ড, চীন, ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশের প্রায় দুইশতাধিক প্রতিথযশা গবেষক, শিক্ষক, স্বনামধন্য প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদগণসহ অন্যান্যরা অংশগ্রহন করেন। ##
লেখাপড়া২৪.কম/এমএইচ