জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উদ্বোধন
স্কুলের শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া রোধে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নিজ দায়িত্বে নিজ নিজ এলাকার শিক্ষা কার্যক্রম উন্নত করার জন্য শিশুদের মিড ডে মিল কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সমাজের সামর্থবান বিদ্যানুরাগী ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষক-অভিভাবকরা এগিয়ে এলে আমাদের আর কারও মুখাপেক্ষী হতে হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কারো মুখাপেক্ষি হতে চাই না। সকলে মিলে কাজ করলে আর কারো মুখাপেক্ষী হতে হবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নিজেদের উদ্যোগেই বাচ্চাদের টিফিন তৈরী করে খাওয়ানো যায়। অতীতে এভাবেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলত।তিনি শিশুদের স্কুলে চলমান মিডডে’ টিফিনের মানোন্নয়নেরও প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ এবং মাদকের সঙ্গে যেন কোনভাবেই আমাদের শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্যও শিক্ষক অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, মাদ্রাসা, মসজিদ ও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এ বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করতে হবে। তিনি বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। কেউ যেন ইসলামের নামে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৬ উদ্বোধন ও প্রাথমিক শিক্ষা পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন এমপি। স্বাগত বক্তৃতা করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন খালেদ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের ক্রেষ্ট তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। প্রধানমন্ত্রী ১০৬ জন প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১৬ বিজয়ী শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং বিদ্যানুরাগীদের পুরস্কৃত করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় দফতর ও বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবনের লালিত স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা-দারিদ্র্য মুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলা। সেই লক্ষ্যে তিনি যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। তিনি বলেন, কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু ‘প্রাইমারী এডুকেশন অর্ডন্যান্স-১৯৭৩’ এবং ‘প্রাইমারী স্কুল (টেকিং ওভার) অ্যাক্ট ১৯৭৪’-এর আওতায় ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমকি বদ্যিালয়কে জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষকের পদ সরকারিকরণ করেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ‘৭৫ সালের আগস্ট ট্রাজেডির পর বাকি সুপারিশসমূহ ২১ বছর আলোর মুখ দেখেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একদিকে তিনি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন করেন, অন্যদিকে একটি পূর্ণাঙ্গ সংবিধান রচনা করে প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করে নারীদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করার ৪০ বছর পর আমি ২০১৩ সালে দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছি। সেদিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৩ হাজার ৮৪৫ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণের ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমরা ঘোষিত পদের চেয়ে ৫ হাজার বাড়িয়ে ১ লাখ ৮ হাজার ২০০ শিক্ষকের চাকরি সরকারি করেছি। তিনি বলেন, খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানের ব্যবস্থাসহ জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব কিছুই আওয়ামী লীগ সরকার করছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর ’৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহনের পর আমাদের পদক্ষেপের ফলে মাত্র দু’বছরে সাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়ায়। এ অর্জনের স্বীকৃতি হিসাবে বাংলাদেশ ‘ইউনেস্কো স্বাক্ষরতা পুরস্কার ১৯৯৮’ লাভ করে। কিন্তু বিএনপি-জামাত ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে সেটাতো বাড়াইনি বরং আমাদের রেখে যাওয়া হারের চেয়ে ২০ শতাংশ কমিয়ে ৪৪ শতাংশে নামিয়ে আনে।
প্রধানমন্ত্রী বিগত ৭ বছরে শিক্ষা-স্বাস্থ্য উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, আমরা গত ৭ বছরে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত বিনামূল্যে ১৯৩ কোটি বই বিতরণ করেছি। পৃথিবীতে বিনামূল্যে এত বিপুল পরিমান বই সরবরাহের আর কোন নজীর আছে কি না আমার জানা নেই।তিনি বলেন, এবারও পহেলা জানুয়ারী ২০১৬ তারিখে দেশব্যাপী ‘বই উৎসব’ হয়েছে এবং মাধ্যমিক পর্যন্ত ৪ কোটি ৪৪ লক্ষ ১৬ হাজার ৭২৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে ৩৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ৬২ হাজার ৭৭২টি নতুন পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে। এ বছর শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে ১০ কোটি ৮৭ লক্ষ ১৯ হাজার ৯৯৭টি বই বিতরণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০১০ সালে আধুনিক-বিজ্ঞানসম্মত জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছি। এতে প্রাথমিক শিক্ষা-শিক্ষার্থীর মানসিক বিকাশ, আচরণ ও ভাষা শিখানোর বিষয়টি মৌলিক স্তর হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব বর্ণমালায় পাঠ্য পুস্তক তৈরীর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাষ্ট এবং নিজস্ব সামান্য সম্পত্তি রাষ্টীয় কোষাগারে দান করে তা দিয়ে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট গঠন করে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি-উপবৃত্তি এবং দরিদ্রদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘এখন দেশে উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখ। ২০০৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪৮ লাখ ১৫ হাজার ৬৩৬ জন। ২০১০ সালে প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৭৮ লাখ ১৭ হাজার ৯৭৭ জনে উন্নীত করেছিলাম। আমরা এবছর উপবৃত্তির অর্থের পরিমাণও বাড়িয়েছি।’
৪৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ স্বাক্ষরতা কর্মসূচি’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ ২০১৪ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করি। সহকারি শিক্ষকের বেতন একধাপ বাড়ানোর প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ছিল ৯৭ দশমিক ৯৪ শতাশ। এ হার শতভাগে উন্নীত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। জোট সরকারের সময়ের ঝড়ে পড়ার হার ৫০ দশমিক ৫ % শতাংশ থেকে বর্তমানে আমরা তা ২০ দশমিক ৪ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। তিনি বলেন, দেশে এখন সাক্ষরতার হার ৭১ শতাংশ। ইনশাল্লাহ অচিরেই আমরা নিরক্ষরতা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর উন্নয়ন কর্মকান্ডের আরো পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বলেন, তাঁর সরকার শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট্রের আওতায় ৯১ টি ‘শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশের ৫২টি জেলার ১৪৮টি উপজেলায় ১ হাজার ১৪০ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১২ হাজার ৫৬৭টি ‘আনন্দ স্কুল’ প্রতিষ্ঠা, আনন্দ স্কুলে বিনামূল্যে বই দেয়ার পাশাপাশি বিনামূল্যে পোষাক ও উপবৃত্তি প্রদান এবং ৫ হাজার ৯শ’টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুন:নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় ১৫০০টি বিদ্যালয় নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৩০৭টির কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া, প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ে ধারণা দিতে ‘সুস্বাস্থ্যে-সুশিক্ষা’ কর্মসূচির আওতায় ৩৯ হাজার ৩০৩টি গভীর নলকূপ স্থাপন পরিকল্পনার আওতায় ২৫ হাজার ৬২১টি স্থাপন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষকতা মহান পেশা। তাদের সম্মান অনেক উপরে। এখনও আমি আমার শিক্ষকদের যেখানে পাই সম্মান জানাই। তিনি বলেন, জাতির পিতা প্রায়ই বলতেন “সোনার বাংলা গড়ার জন্য সোনার মানুষ চাই”। আপনারা হচ্ছেন সেই মানুষ গড়ার কারিগর। আপনারা পারেন-নীতি ও মূল্যবোধের চর্চা শিখিয়ে দেশের প্রতিটি শিশুকে আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে। ভালো-মন্দ কিংবা ন্যায়-অন্যায় বিবেচনার জ্ঞান এবং দেশাত্মবোধের শিক্ষা দেয়া আপনাদের দায়িত্ব। তাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন। দরিদ্র প্রতিবন্ধীদের আপন করে নেয়ার শিক্ষাও আমি আশাকরি শিক্ষকেরা তাদের শিক্ষার্থীদের দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন, আমরা সবাই মিলে দেশের শিক্ষাখাতের উন্নয়নে এগিয়ে এসে দেশ থেকে নিরক্ষরতাকে চিরতরে দূর করে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলি।
অনুষ্ঠানে পদক প্রাপ্তদের তিনি অভিন্দন জানিয়ে বলেন, অর্জিত পদক আগামী দিনে ‘সোনার মানুষ’ হিসেবে গড়ে ওঠার উৎসাহ ও প্রেরণা যোগাবে।অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা, ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১০৬ জনকে ’জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১৫’ তে ভূষিত করেন। পুরস্কার বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, বিদ্যোৎসাহী ও বিদ্যানুরাগী ব্যক্তিবর্গের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রেস্ট, সনদপত্র এবং উপহারের চেক তুলে দেন।
পুরস্কার বিজয়ীরা হচ্ছেন- শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন (কুষ্টিয়া), শ্রেষ্ঠ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান (বিয়ানী বাজার সিলেট), শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড. রহিমা খাতুন (সোনাইমুড়ি নোয়াখালী) শ্রেষ্ঠ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম (পাবনা,রাজশাহী), শ্রেষ্ঠ পিটিআই সুপারিনটেন্ডেন্ট মো.জয়নাল আবেদীন (কুমিল্লা পিটিআই), শ্রেষ্ঠ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো অহিদুল ইসলাম (ডুমুরিয়া খুলনা), শ্রেষ্ঠ পিটিআই ইন্সট্রাক্টর যুথিকা রানী দাস (দিনাজপুর পিটিআই),শ্রেষ্ঠ ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর আব্দুর রহিম (কালিয়াকৌর গাজীপুর), শ্রেষ্ঠ ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর মোস্তাফিজুর রহমান (চারঘাট ইউআরসি, রাজশাহী), শ্রেষ্ঠ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মেজর শিরীন আক্তার (পটুয়াখালী সদর, পটুয়াখালী), শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী সমাজকর্মী অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুল হক (মিঠা মইন,কিশোরগঞ্জ),শ্রেষ্ঠ শিক্ষক প্রাথমিক বিদ্যালয় মো.সিদ্দিকুর রহমান পূর্ব চড়কগাছিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বরগুণাসদর বরগুণা, শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকা তাসলিম চৌধুরী (সদর মৌলভী বাজার) প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।# সূত্র-বাসস।
লেখাপড়া২৪.কম/আরএইচ