ঢাবিতে বাংলাদেশ-ভারত দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন

Picture of the Councilবাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদের দ্বি-বার্ষিক কেন্দ্রীয় সম্মেলন ৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের চেয়ারপার্সন এডভোকেট এম এ বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি প্রধান অতিথি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া, অনুষ্ঠানে এ কে এম রহমতুল্লাহ, এ কে এম বাহাউদ্দিন বাহার, বাংলাদেশ ব্যাংকের চিফ ইকোনমিস্ট ড. বিরু পাক্ষ পাল, বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান এডভোকেট আবুল বাসেত মজুমদার, ভারতের সাবেক এমপি সোমেন্দ্র নাথ মিত্র, ভারতের সাবেক মন্ত্রী সরদার আমজাদ আলী প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর রক্ত একই ধারায় প্রবাহিত হয়েছে। তাই দু’দেশের এই সম্পর্ক রক্তের সম্পর্ক। তিনি বলেন, বর্তমান আধুনিক বিশ্বে ইউরোপের ধনী দেশগুলো ১ মিলিয়ন শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে পারছেনা।

 

Post MIddle

অথচ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ১ কোটিরও বেশী শরণার্থীকে ভারত আশ্রয় দিয়েছিল। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক শুধু কূটনৈতিক সীমারেখার মধ্যে আবদ্ধ নয় উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতি, ক্রীড়াসহ সকল ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক একাকার হয়ে আছে। তিনি বলেন, দু’দেশের এই সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঞ্চালন করতে হবে এবং ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিদ্যমান জটিলতাসমূহ দূর করতে হবে। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে একযোগে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

 

লেখাপড়া২৪.কম/ঢাবি/পিআর/এমএএ

পছন্দের আরো পোস্ট