বর্ণাঢ্য আয়োজনে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

DNCC Mayor Annisul Huq Addrssing as the chief guest at the 14th Foundation Anniversary of Daffodil International Universityদিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র চতুর্দশ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ আশুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে উদযাপিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন ,

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ এম ইসলাম, ট্রেজারার হামিদুল হক খান, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুবুল হক মজুমদার, বাণিজ্য ও অর্থনীতি অনুষদের ডীন প্রফেসর রফিকুল ইসলাম, প্রকৌশল অনুষদের ডীন প্রফেসর এম সামছুল আলম, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর এ এম এম হামিদুর রহমান, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হক ও চতুর্দশ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও পরিচালক (স্থায়ী ক্যাম্পাস) ড. মোস্তফা কামাল।

 

দিনব্যাপী আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল বাস র‌্যালী, আলোচনা অনুষ্ঠান, বৃক্ষরোপন, বনভোজন, সেলিব্রেটি শো, খেলাধূলা, ফান ইভেন্টস, র‌্যাফেল ড্র এবং জনপ্রিয় ব্যান্ড দল মাইলসের লাইভ কনসার্ট। অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসকে সাজানো হয় বর্নিল সাজে। সতের হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তাসহ ৩৫০টি বাসের র‌্যালী মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে সকাল ৭টায় আশুলিয়ার স্থায়ী ক্যাম্পাসে এসে মিলিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে জনাব আনিসুল হক বলেন, মানুষ স্বপ্নের সমান বড়, কখনো কখনো স্বপ্নের চেয়েও বড়। মানুষ মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত স্বপ্ন দেখে, আর তোমাদের জীবনে স্বপ্ন দেখাটা কেবল শুরু। জীবনে বড় হতে হলে স্বপ্ন দেখতে হবে। তিনি ভাল মানুষের জীবনী ও ভাল বই পড়ার পরামর্শ দেন।

 

ব্যক্তিজীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমার জীবনে অর্জনের পিছনে সবচেয়ে বড় শক্তি আমার মায়ের দোয়া, তিনি শিক্ষার্থীদের মা-বাবার ভক্তি এবং শিক্ষাগুরদের সম্মান প্রদর্শনেরও পরামর্শ দেন। তিনি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মানসম্মত ও সময় উপযোগী শিক্ষা সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উন্নত ক্যারিয়ার গঠনের পরামর্শ দেন।

 

Post MIddle

সভাপতির বক্তব্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিগত দিনের সাফল্য তুলে ধরে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান বলেন, বিশ্বের নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে শিক্ষা বিনিময়ের মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের শিক্ষা লাভ করবে এবং আন্তর্জাতিক চাকরি বাজারে নিজেদের শিক্ষার মান যাচাইয়ের সুযোগ পাবে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

 

তিনি আরো বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ইতিমধ্যে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে। ডিআইইউ এলামনাইদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৭০০ জন উদ্যোক্তা হয়েছেন যারা ইতিমধ্যে পাঁচ হাজারের বেশী লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের চাকরি না খুঁজে উদ্যোগক্তা হওয়ার পরামর্শ দেন এবং এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

 

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্র্সিটি আশুলিয়ায় ৮০ একর জায়গার উপর সর্বাধূনিক সুবিধা সম্বলিত আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আবাসিক সুবিধাসহ শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছে। এখানে কোলাহল মুক্ত ছায়া সুনিবিঢ় শান্ত সবুজ পরিবেশে আধূনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত খেলার মাঠ, অডিটরিয়াম,আবাসিক হল, সুইমিং পুল, জিমনেশিয়াম, বাস্কেটবল গ্রাউন্ড, টেনিস কোর্ট সহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন রয়েছে।

 

প্রযুক্তি নির্ভর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারি মাত্র ৬৮ জন শিক্ষার্থী নিয়ে। ইতিমধ্যে দেশ ছাড়িয়ে দেশের বাইরেও ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছে। জন্মলগ্ন থেকেইে অবিরত প্রযুক্তিভিত্তিক কার্যক্রমের সংশ্লিষ্টতা এবং তরুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আজ সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটিতে পরিনত করতে সক্ষম হয়েছে।

 

লেখাপড়া২৪.কম/ড্যাফোডিল/পিআর/এমএএ

পছন্দের আরো পোস্ট