ঢাবিতে নাজমুল করিম স্টাডি সেন্টার বক্তৃতা

picture-2ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাজমুল করিম স্টাডি সেন্টারের উদ্যোগে (২৮ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে “নাজমুল করিম স্টাডি সেন্টার বক্তৃতা-২০১৬” অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. রওনক জাহান “The Challenges of Institutionalising Democracy in Bangladesh” বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাজমুল করিম স্টাডি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. নেহাল করিম।

 

হারবার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-এর সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক ড. রওনক জাহান তাঁর বক্তৃতায় বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ সম্পর্কে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা উপস্থাপন করেন। তিনি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন এবং গণতন্ত্র সুসংহত করার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আলোকপাত করেন।

 

Post MIddle

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সভাপতির বক্তব্যে প্রথমে নাজমুল করিমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, নাজমুল করিম এক অনন্য শিক্ষক, অসাধারণ মানবিক গুণসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব, ব্যতিক্রমী মানুষ ছিলেন। তাঁর গবেষণা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আজকের তরুণ প্রজন্ম তাঁর আদর্শ অনুসরণ করা প্রয়োজন। সেজন্যই তাঁকে স্মরণ করা আজ দায়িত্ব ও কর্তব্য। উপাচার্য স্মারক বক্তৃতার সূত্র ধরে বলেন, একথা যথার্থ যে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সুসংহত করতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তা করতে হবে। নির্বাচন, আইনের শাসন, নাগরিক স্বাধীনতা কিংবা জবাবদিহিতার প্রয়োজন আছে।

 

কিন্তু ১৯৭১ আর আজকের প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় রাখতে হবে। আমাদের সমাজে চিন্তার এবং রাজনৈতিক কর্মপ্রচেষ্টার মধ্যে ইতিবাচক পদ্ধতি গ্রহণ করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আজও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবীদের অবদান নিয়ে কটুক্তি করা হয়। তাই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে প্রতিবন্ধকতা দূর করে এগিয়ে যেতে হবে গণতন্ত্রের পথে। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে স্মারক বক্তৃতার মূল ম্যাসেজ অনুসরণ করতে হবে। শিক্ষাই গণতন্ত্রের ভিত্তি, তাই শিক্ষা, শিক্ষা এবং সুশিক্ষা অর্জনের মধ্য দিয়েই গণতন্ত্রের সোপান পাড়ি দিতে হবে।

 

 

পছন্দের আরো পোস্ট