শুক্রবারও চলবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

IUসপ্তাহের অন্যান্য দিনের মত আগামী শুক্রবারও সাভাবিক ভাবেই চলবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়া সত্বেও ওইদিন ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে বিভাগীয় সভাপতিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

 

শিক্ষক সমিতির কার্যালয় সূত্রে, সোমবার বেলা সাড়ে ১০টায় শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আগামী শুক্রবার ক্যাম্পাসের একাডেমিক কার্যক্রম চালু রাখার সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। গত ১১ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পালিত কর্মবিরতিতে একাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, অন্যান্য দিনের মত শুক্রবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ফলে ওইদিন ক্যাম্পাসের বাস সার্ভিস চালু থাকবে।

 

এছাড়া বেলা দুইটার পর থেকে সকল বিভাগের চুড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণ করার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এমনকি সপ্তাহের যেকোন দিন প্রত্যেকটি বিভাগের যেকোন শিক্ষক প্রয়োজন মনে করলে দুইটার পরও ক্লাস-পরীক্ষা নিতে পারবেন বলে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এমতাজ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ অলীউল্যাহ শিক্ষকদের গৃহিত এসব পদক্ষেপ গুলো সাংবাদিকদের অবহিত করেন।

 

Post MIddle

এদিকে শুক্রবার ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এমন খবর পাওয়ার পর সাহেদ, মামুন, জিনিয়া, শিক্ষার্থী আনন্দ প্রকাশ করে বলেন-‘ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কল্যাণকর যেকোন সিদ্ধান্তে আমরা শিক্ষকদের নিয়ে গর্ববোধ করি। অন্যদিকে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস প্রজাপতি, হিমেল, সোহাগসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন-‘আমদের কথা মাথায় নিয়ে শিক্ষকরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা শুনে খুব ভাল লাগছে। আশাকরি, শিক্ষকদের এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামীর পথকে আরো বেগবান করবে এবং এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’

 

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ অলী উল্যাহ বলেন-‘সকল বিভাগের সভাপতিদের নিয়ে যে সভা আহ্বান করা হয়েছিল তা অত্যন্ত ফলপ্রসূূ হয়েছে। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শিক্ষকরা কাজ করে যাবে।’

 

শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এমতাজ হোসেন বলেন-‘সকল বিভাগীয় সভাপতি শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে একমত হয়ে শুক্রবার ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শিক্ষক সমিতি শুধু শিক্ষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কাজই করে না শিক্ষার্থীদের স্বার্থ নিয়েও আমরা কাজ করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সময় ও কর্মকান্ডে পরিবর্তন আনা জরুরী। আশা করছি সব বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে আমাদের ক্যাম্পাসটাকে আরো এগিয়ে নিতে পারবো।’

 

ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন-‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে শিক্ষক সমিতির সদা তৎপর রয়েছে। শুক্রবার ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার কঠিন কাজটি নিয়ে শিক্ষক সমিতি শিক্ষকদেরকে ঐক্যমতে আনতে পেরেছেন শুনে খুব ভাল লাগছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকান্ড এমনটিই হওয়া উচিত। প্রশাসন শিক্ষকদেরকে সার্বিক সহযোগীতা নিশ্চিত করবে।’

 

 

পছন্দের আরো পোস্ট