রাবিতে ২০ দিন পর প্রাণের হাওয়া

ruশীতকালীন ছুটি ও বেতন কাঠামো জটিলনতা নিয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে ১ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো বিভাগে ক্লাস পরীক্ষা-হয়নি। ছুটি ও কর্মবিরতি উঠে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও ক্লাস শুরু হয়েছে। এতে করে টানা ২০দিন পর আবারও ক্যাম্পাসে প্রাণের হাওয়া বইতে শুরু করেছে।

 

ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হওয়ায় এরই মধ্যে ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের আগমণে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন চত্বরগুলো আবারও মেতে উঠেছে আনন্দে।

 

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। ৩০ জানুয়ারি সাধারণ শিক্ষার্থী এবং ১ ফেব্রুয়ারি কোটাভুক্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ৬ ফেব্রুয়ারিতে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন।

 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৩৭ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মসূচি স্থগিত হওয়ায় বুধবার থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে রাবি শিক্ষক সমিতি বুধবার সন্ধ্যায় সাধারণ সভা শেষে বৃহস্পতিবার থেকে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তাই বৃহস্পতিবার থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে।

 

Post MIddle

বছরের প্রথম দিন থেকে রাবিতে শুরু হয় শীতকালীন ছুটি। হল খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ছিলো খুব কম। তারপর আবার ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া শিক্ষক কর্মসূচির কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় বাড়ি থেকে ক্যাম্পাসে ফিরে আসেননি অধিকাংশ শিক্ষার্থী। তাই শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্তে পরিবার ছেড়ে প্রিয় শিক্ষাঙ্গনে আসতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।

 

বন্ধুদের কাছে পেয়ে জমে উঠেছে আড্ডা। চত্বরগুলোতে আড্ডা চলছে বাড়ির পিঠা আর কাটানো সময়গুলো নিয়ে। আড্ডার ফাঁকে কথা হয় সুমির সঙ্গে। সে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী। অনেকদিন পর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা কেমন চলছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘পড়াশোনার চাপে খুব ইচ্ছা করে বাড়ি থেকে ঘুরে আসতে। কিন্তু কয়েকদিন যেতেই বন্ধুদের সঙ্গে মন কেমন করে। সবার জন্য বাড়ি থেকে পিঠা নিয়ে এসেছি। সবাই মিলে মজা করে পিঠা উৎসব করা হবে।’

 

শুধু শিক্ষার্থী না স্বস্তি ফিরেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকা পরিবারগুলোতে। চত্বরগুলোতে যারা প্রতিদিন সকাল থেকে চা, সিঙ্গারা, পুরি বিক্রি করেন তাদের সংসার চলে এই ক্যাম্পাস থেকে। আবার যারা ক্যাম্পাসে রিক্সা চালান তাদেরও একই অবস্থা।

 

ক্যাম্পাসের দোকারদার সুরুজ মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন এখানে নাস্তা বিক্রি করে যে আয় হয় তা দিয়ে আমার সংসার ভালোভাবে চলে যায়। কিন্তু ক্যাম্পাস বন্ধ হলে সংসার চালানো আমার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। আর সারাদিন সবার হাসিমাখা মুখ দেখে দিনটাও খুব ভালো কাটে।’#

 

 

লেখাপড়া২৪.কম/রাবি/তমাল/আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট