ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা মনজুর কাদের স্মারক বক্তৃতা

_DSC0313 (1)ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে আজ (১৮ জানুয়ারি) “শব্দ সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.বি.এম. মনজুর কাদের (বাবুল আখতার) স্মারক বক্তৃতা ২০১৬” অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.বি.এম. মনজুর কাদের (বাবুল আখতার) ট্রাস্ট ফান্ডের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো: কামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি হিসাবে প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ এবং প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সহিদ আখতার হুসাইন। “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এবং শব্দ সৈনিক বাবুল আখতার” শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক আশরাফুল আলম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.বি.এম. মনজুর কাদের (বাবুল আখতার) ট্রাস্ট ফান্ডের দাতা মাসুদ কাদের মনা, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সিরাজুল হক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমান।

 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক “শব্দ সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.বি.এম. মনজুর কাদের (বাবুল আখতার)-এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শব্দ সৈনিক হিসাবে তাঁর যে অবদান, তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। উপাচার্য বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা কেন্দ্র যে বলিষ্ঠ ভূমিকা ও অবদান রেখেছে এবং এর সাথে যারা সম্পৃক্ত ছিল, তা আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। উপাচার্য আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ আমাদের চালিকা শক্তি, তাঁর আদর্শ, চিন্তা-চেতনা, লক্ষ্য ও স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ইতিহাস এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ এবং সারগর্ভ বক্তৃতা প্রদানের জন্য স্মারক বক্তা শব্দ সৈনিক আশরাফুল আলমকে উপাচার্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

 

Post MIddle

স্মারক বক্তা আশরাফুল আলম বলেন, বাবুল আখতার ছিলেন নিজের পায়ে দাঁড়ানো একজন অসাধারণ মানুষ। তিনি ছিলেন বহুমুখী গুণাবলীর অধিকারী। স্বধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সংবাদ পাঠে তাঁর ছিল সাবলীল ও প্রবাহমান গতি এবং দায়িত্বে ছিলেন তিনি সম্পূর্ণ নিষ্ঠাবান। আশরাফুল আলম তাঁর ভাষণে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরেন এবং এর সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন, তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোকপাত করেন। এছাড়া, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে যে সমস্ত অনুষ্ঠানমালা প্রচার হয়েছিল তাও তিনি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ছিল মুক্তিপাগল সমস্ত বাঙালীর হৃদপিণ্ড, আর সেই হৃদপিণ্ডেরই একটি অংশ ছিল বাবুল আখতার।

 

উল্লেখ্য, এ. বি. এম. মনজুর কাদের (বাবুল আখতার) ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ছাত্রাবস্থাতেই মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালে তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কিংবদন্তী সংবাদ পাঠক হিসেবে অসামান্য জনপ্রিয়তা লাভ করেন। স্বাধীনতা পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় সংবাদপাঠক ছিলেন। ১৪ জানুয়ারী ২০০৬ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

 

লেখাপড়া২৪.কম/ঢাবি/পিআর/এমএএ-০৬৮৫

পছন্দের আরো পোস্ট