ইবিতে ক্লাস-পরীক্ষার দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

IUইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। শনিবার তারা মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবন থেকে মিছিল বের করে প্রশাসন ভবন গিয়ে ভিসির কাছে তাদের দাবি তুলে ধরে। এসময় শিক্ষার্থীরা বিভাগের সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে ভিসিকে রবিবার (আজ) বেলা ১২টা পর্যন্ত সময় বেধেঁ দেয়।

 

সুত্র মতে, নিয়োগ বোর্ড বাতিল ও বিভাগীয় সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ ধর্মঘট করছেন বিভাগের শিক্ষকদের বৃহৎ অংশ। ওইদিন থেকে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন শিক্ষকরা। একই সাথে তারা বিভাগের পরীক্ষা কমিটিসহ সকল কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে জানা যায়। শিক্ষকদের এ আন্দোলনে বিভাগের ১৬জন শিক্ষকের মধ্যে ১৪জন (বিভাগীয় সভাপতি ও তার স্ত্রী ব্যতীত) শিক্ষকের স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহণ রয়েছে বলে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানিয়েছেন। তারা আরো জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।

 

এদিকে পূর্ব থেকেই সেশন জটে জর্জরিত বিভাগে শিক্ষকদের এ আন্দোলনের কারণে তা ভয়াবহ রুপ নেবে বলে আশংকা করেছে শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে বিভাগটিতে প্রায় আটটি ব্যাচ রয়েছে। তা সত্বেও শিক্ষকদের নতুন আন্দোলনের ফলে ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। নামপ্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষকদের ব্যক্তিগত দ্ব›েদ্বর ছোবলে আমাদের জীবন কেন অনিশ্চয়তায় পড়বে? শিক্ষকরা তাদের সমস্যা টেবিলে বসে সমাধান না করে কেন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিকূল কর্মসূচীতে গেলেন তা আমাদের বিস্মিত করেছে। সকল শিক্ষক যদি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতেন, আমাদেরকে তাদের সন্তান মনে করতেন তাহলে তারা এধরণের কাঁদা ছুড়াছুড়ি করতেন না। জানি না আমাদের ভাগ্যে কি আছে! আমরা চাই ভিসি স্যার শিঘ্রই এর সমাধান করবেন।

 

Post MIddle

সাবেক ডিন প্রফেসর ড. জহুরুল ইসলাম বলেন-‘ বিভাগের চেয়ারম্যান নিয়ম লক্সঘন করে নিয়োগের জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। বিভাগের অন্যকোন শিক্ষকের মতামতকে তিনি আমলেই নিচ্ছেন না। নিয়োগ বোর্ড বাতিল ও চেয়ারম্যানের পদত্যাগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে প্রশাসনের উচিত বিভাগের সকল শিক্ষকের দাবি মেনে নেয়া।’

 

আইন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. শাহজাহান মন্ডল বলেন, ‘আমি চাই বিভাগের শিক্ষকরা তাদের অন্যায় দাবি বাদ দিয়ে ক্লাসে ফিরে আসুক, পরীক্ষা ঠিকমত নিক এবং সময়মত ফলাফল দিক। আশা করি তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।’

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার জানান, ‘আমি বিভাগের সভাপতি ও অনুষদের ডীনকে ডেকে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে সমাধানে আসতে বলেছি। প্রশাসনিক বিষয় প্রশাসনিকভাবে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। এটা কখনো শিক্ষর্থীদের ক্ষতি করে সমাধান করা সম্ভব নয়।

 

লেখাপড়া২৪.কম/নবীন/পিআর/এমএএ-০৬০১

পছন্দের আরো পোস্ট