চুয়েট শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন

 

picপ্রথমেই আপনাদেরকে জানাই ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা। আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন যে, বিগত প্রায় ৮ মাসের অধিক সময় ধরে অষ্টম বেতন কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য ও মর্যাদা রক্ষার জন্য অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাথে সমন্নয় রেখে যোগ্য দাবী আদায়ের জন্য সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে এসেছে।

 

আপনারা ইতোমধ্যে লক্ষ্যে করেছেন যে, চুয়েট শিক্ষক সমিতি বিভিন্ন পর্যায়ে স্বল্প পরিসরে যে সকল কর্মবিরতি, মানব বন্ধন ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম সচল রেখেই। এক্ষেত্রে সবসময় আপনাদের সহযোগিতা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বরণ করছি। তবে আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ধৈর্য্যের সাথে সময় উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা সত্বেও বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষকদের ন্যায্য দাবীসমূহ গত ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ প্রকাশিত ৮ম বেতন স্কেলে প্রতিফলিত হয়নি।

 

গত ০২ জানুয়ারী ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের বৈঠকে শিক্ষক প্রতিনিধিরা বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি একাত্বতা প্রকাশ করছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে চুয়েট শিক্ষক সমিতি কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ নিম্নরুপঃ

 

ক) অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগন ০৩ জানুয়ারী থেকে ০৭ জানুয়ারী ২০১৬ পর্যন্ত কালো ব্যাচ পরিধান করে  ক্লাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

 

খ)অদ্য (০৭ জানুয়ারী) সকাল ১১.০০ ঘটিকা থেকে দুপুর ১.০০ টা পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত, উক্ত সময়ে মানব বন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনও করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

 

গ) প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আগামী ১১ জানুয়ারী থেকে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ (Complete Shutdown) থাকবে। তবে জরুরী দাপ্তরিক কার্যক্রম এর আওতামুক্ত থাকবে।

 

Post MIddle

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবিসমূহঃ

 

১। অষ্টম জাতীয় বেতনস্কেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য সপ্তম জাতীয় বেতনস্কেলের সম্পূর্ণ অনুরূপ সিলেকশনস গ্রেড ও টাইমস্কেল বহালসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখতে হবে।

 

২। অষ্টম জাতীয় বেতনস্কেলে সিনিয়র২। অষ্টম জাতীয় বেতনস্কেলে সিনিয়র সচিবের যে পদমর্যাদায় রাখা হয়েছে, সেই স্থানে গ্রেড-১ প্রাপ্ত অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একটি অংশকে শতকরা হাের উন্নীত করার বিধান রাখতে হবে।

 

৩। সরকারি কর্মকর্তাদের অনুরূপ গাড়ি ও অন্যান্য সুবিধা শিক্ষকদের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে।

 

৪। সরকার ও বিদেশি দাতা সংস্থাগুলোর প্রদত্ত উচ্চশিক্ষা বৃত্তি তরুণ শিক্ষকদের জন্য নিশ্চিত করতে হবে।

 

এছাড়া উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, চুয়েট শিক্ষক সমিতি কর্তৃক শিক্ষকদের এ চলমান আন্দোলন সম্পূর্ণ পেশাগত মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত নয়।

 

লেখাপড়া২৪.কম/চুয়েট/পিআর/এমএএ-০৫৮০

পছন্দের আরো পোস্ট