ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমারম্ভ

Pictureকৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব জনাব শাইখ সিরাজ বলেছেন, আগামী দিনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আমাদেরকে এমনভাবে বিপর্যস্ত করবে যে নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে তা মোকাবিলা করার বিকল্প থাকবে না। এজন্য কৃষি খাতে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে।

 

আজ রবিবার সকালে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীদের দুই দিনব্যাপী শিক্ষাবর্ষ সমারম্ভের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাইখ সিরাজ এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

 

দারিদ্র বিমোচন ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে গুসি শান্তি পুরস্কার লাভ করায় অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ হতে শাইখ সিরাজকে উঞ্চ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ ক্রেস্ট দিয়ে শাইখ সিরাজকে সংবর্ধনা জানান। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান।

 

সংবর্ধনার জবাবে শাইখ সিরাজ বলেন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় একদিন আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে। আগামী দিনের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকরী ভূমিকা থাকবে। নবাগত ছাত্রছাত্রীরা এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের মাধ্যমে কৃষি ও খাদ্য প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে। পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতে অবদান রাখতে পারবে। খাদ্য নিরাপত্তা ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার দায়িত্ব নবীন শিক্ষার্থীদের। বিজ্ঞানী ও কৃষকদের মধ্যে তারা সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে। আজকের ছাত্রছাত্রীরাই একজন শক্তিশালী সৈনিক হিসেবে দেশ গড়ার ভ‚মিকায় অবতীর্ণ হবে।

 

Post MIddle

শাইখ সিরাজ আরও বলেন, কৃষি খাতকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। কৃষি খাত যত সমৃদ্ধ হবে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা তত উন্নত হবে। এর মাধ্যমে দেশের খাদ্য নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যাবে।

 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। বক্তব্য রাখেন বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. সরোজ কান্তি সিংহ হাজারী, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, প্রক্টর প্রফেসর গৌতম কুমার দেবনাথ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. কবিরুল ইসলাম খান।

 

উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হলো গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণ করা। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া ও গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। আমরা আশাকরি, নবাগত ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকদের সরাসরি তত্ত¡াবধানে থেকে তাদের মূল্যবান সময়কে কাজে লাগাবে। শিক্ষাজীবনের ৪-৫ বছর সময় সঠিকভাবে ব্যবহার করলে কর্মজীবনে এর সুফল পাওয়া যাবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি অনুষদ অত্যন্ত সময়োপযোগী। ভেটেরিনারি মেডিসিন, ফুড সায়েন্স এণ্ড টেকনোলজি এবং ফিশারিজ অনুষদের গুরুত্ব ও চাহিদা বিশ্বব্যাপী। এ তিনটি অনুষদ থেকে উত্তীর্ণ গ্র্যাজুয়েটগণ সরাসরি দেশের সেবায় অবদান রাখার সুযোগ পাবে। দেশের দারিদ্র বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।

 

লেখাপড়া২৪.কম/পিআর/এমএএ-০৫৪৩

পছন্দের আরো পোস্ট