খুবিতে কোয়ালিটি এ্যাসুরেন্স সেলের উদ্যোগে সেমিনার

Khulna University photoখুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেছেন শিক্ষার্থীদের মনন গঠন হয় শিক্ষককে দেখে। একজন শিক্ষক কতটুকু আন্তরিক, কতটা ভালো ক্লাস নেন, ক্লাস নিতে কতটুকু প্রস্তুত হয়ে আসেন, তাঁর জানার গভীরতা কতটুকু, ব্যক্ত করার যোগ্যতা, এমনকি শিক্ষকের সততা, আচরণসহ আরও অনেক কিছু শিক্ষার্থীর মনন গঠনে প্রভাবিত করে। ভবিষ্যতে ব্যক্তি কিংবা পেশাগত জীবনেও তা বাস্তব ক্ষেত্রে প্রভাব রাখে। তিনি আজ (৩১ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি ডিসিপ্লিনের লেকচার থিয়েটারে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এ্যাসুরেন্স সেলের উদ্যোগে আয়োজিত কোর্স কারিকুলা ডেভেলপমেন্ট শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।

 

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় সেলের অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ সারওয়ার জাহান ও প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার এবং রিসোর্স পার্সন হিসেবে প্রফেসর ড. সাবিহা হক এবং প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বক্তব্য রাখেন।

 

Post MIddle

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে বিশ্বপ্রতিযোগতায় টিকে থাকতে হলে শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করতে হবে। দক্ষ জনশক্তি তথা যোগ্য গ্রাজুয়েট তৈরি করতে না পারলে তারা বিশ্ববাজারে কর্মসংস্থানলাভ করতে পারবে না। দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে না। এছাড়া বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় হেকেপ প্রকল্পের আওতায় গুণগত মানোন্নয়নে পিছিয়ে পড়লে ভবিষ্যতে সেই বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে পড়বে। এসব পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ লক্ষ্যে সেন্টার অব এক্সিলেন্স ইন টিচিং এন্ড লার্ণিং (সিইটিএল) এবং ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শিক্ষার গুণগতমানসহ সকল ক্ষেত্রে আশাব্যঞ্জক পর্যায়ে উন্নীত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

 

তিনি বলেন সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সিইটিএল এবং আইকিউএসি প্রথম অবস্থানে রয়েছে। আমরা এ অবস্থান সুসংহত করে আরও সামনে এগোতে চাই যাতে এ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের অগ্রসর তালিকায় স্থান পায় এবং প্রকৃতঅর্থে এ বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণত হয়। তিনি এ ব্যাপারে তরুণ শিক্ষকদেরকে মানসম্মত কোর্স কারিকুলা, সিলেবাস তৈরিসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আরও দক্ষতা বৃদ্ধি ও অনুশীলনের আহবান জানান। এ কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।

 

লেখাপড়া২৪.কম/খুবি/পিআর/এমএএ-০৫২৩

পছন্দের আরো পোস্ট