ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের শীতকালীন অধিবেশন

Picture of DU Senateঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের শীতকালীন অধিবেশন বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর ২০১৫) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিনেটের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের পরিসংখ্যান নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিতর্কিত মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অধিবেশনে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

 

এছাড়া, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশে কোন গণহত্যা হয়নি’ মর্মে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অধিবেশন থেকে বলা হয়, গণহত্যার দায় স্বীকার করে অবশ্যই পাকিস্তানকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। একাত্তরে গণহত্যার অপরাধে গত ১৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেটের এক বিশেষ সভায় পাকিস্তানের সঙ্গে শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়াসহ সকল সামাজিক সম্পর্ক ছিন্ন করার যে সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করে, সিনেট অধিবেশনে তার প্রতিও সমর্থন জানানো হয়।

 

শীতকালীন অধিবেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইনসহ সিনেট সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

Post MIddle

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক তাঁর অভিভাষণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর দেশের এক শ্রেণীর রাজনীতিবিদ ৩০ লাখ শহীদের পরিসংখ্যান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা সত্যের অন্বেষন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার কোন অপপ্রয়াস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বরদাশ্ত করতে পারেনা। বাংলাদেশে গণহত্যা নিয়ে পাকিস্তানের মিথ্যাচারকেও আমরা মেনে নিতে পারিনা। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের পরিসংখ্যান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করাকে তিনি মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার শামিল বলে উল্লেখ করেন।

 

উপাচার্য বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হত্যার মাধ্যমে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী বাংলাদেশে গণহত্যা শুরু করে এবং ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যার মাধ্যমে গণহত্যার শেষ অধ্যায় রচিত হয়। এই গণহত্যার দায় স্বীকার করে অবিলম্বে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার জন্য তিনি পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানান।
উপাচার্যের অভিভাষণের পর সিনেট সদস্যগণ বক্তব্য রাখেন।#

 

 

লেখাপড়া২৪.কম/ঢাবি/পিআর

পছন্দের আরো পোস্ট