খুবিতে রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী উৎসব
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন খেলার মাঠে রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কেবল শিক্ষাদানের জন্যই নয় বরং গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্ভাবনা ও দিক-নির্দেশনা প্রদানে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। মানুষ্যসৃষ্ট কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্বিপাক, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা ঝুঁকি মোকাবেলার পন্থা উদ্ভাবনের মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্মের বাস উপযোগী পরিবশে সৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান জাতি প্রত্যাশা করে।
তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর গত ২৫ বছরে এ বিশ্ববিদ্যালয় দেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র অবস্থান সৃষ্টিতে সক্ষম হয়েছে। খুলনা বিভাগের প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিত বিষয়সমূহ বিচিত্রধর্মী ও যুগোপযোগী। উপকূলীয় অঞ্চলের তথা দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বিশেষ সহায়ক এবং যা বিশেষত দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের বৈচিত্র্যপূর্ণ সম্পদ সুন্দরবনের সুরক্ষা ও সম্ভাবনাময় সম্পদ সংরক্ষণ, উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে আরও ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের ধারাবাহিক উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বে এখন বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। পদ্মা সেতু, বিমান বন্দর, রেল স্টেশনসহ গৃহীত কর্মসূচিতে এতদাঞ্চলের উন্নয়নে বিপুল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর গ্রাজুয়েটদের আরও অবদান রাখার জন্য তিনি আহবান জানান।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন তিলে তিলে গড়ে ওঠা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গত ২৫ বছরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আজ একটি প্রত্যাশিত পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। দেশ-বিদেশে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটরা সুনাম ও দক্ষতার সাথে কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে। তিনি গ্রাজুটেদের সংগঠন এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সদস্যদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ফিরে তাকাতে আহবান জানান এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক সহযোগিতার প্রত্যাশা করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার খান আতিয়ার রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম রহমান, সদ্যগত উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ সাইফুদ্দিন শাহ। এছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের আহবায়ক মোঃ মনিরুল হাসান তুহিন স্বাগত বক্তব্য এবং সদস্য-সচিব ফজলে রেজা সুমন সূচনা বক্তব্য রাখেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) টিপু সুলতান। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দকে এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট ও উত্তরীয় উপহার দেয়া হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্যদেরকেও উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়।
এর আগে সকাল ১০ টায় হাদী চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। বেলুন উড়িয়ে র্যালিটি উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। এসময় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান, প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য গোলাম রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এ্যালমনাই সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন হয়ে পুরাতন খেলার মাঠের মূল অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করে। বিকেলে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও স্মৃতিচারণ এবং সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।#
লেখাপড়া২৪.কম/খুবি/পিআর/আরএইচ-৫১৩০