সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মৎস্যবিদ্যা অনুষদের শিক্ষাসফর

SAU 4সবার কাছে সুস্থ সবল পুষ্টিকর মাছ তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিরলসভাবেই পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিদ্যা অনুষদের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এজন্য তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি ব্যবহারিক জ্ঞানার্জনও অতীব গুরুত্বপুর্ণ। প্রতিবছরই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ উদ্দেশ্যে শিক্ষাসফরের আয়োজন করা হয়।

Post MIddle
এরই ধারাবিহিকতায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিদ্যা অনুষদ ৬ষ্ট ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এ মাসের শুরুতে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে শিক্ষাসফরে যায়। মৎস্যবিদ্যা অনুষদ ৬ষ্ট ব্যাচের ৬৯ জন শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহন করে। সফরের ব্যবস্থাপনা ও নির্দেশনায় ছিলেন মৎস্য প্রকৌশল ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আবু সাঈদ, ড. মো. মোতাহের হোসেন ও ড. মো. আবু জাফর বেপারী।

অবিযাত্রীরা গত ২লা ডিসেম্বর ভোর ৬টায় সিকৃবি ক্যাম্পাস থেকে যাত্রা শুরু করেন কুলিয়ারচরের উদ্দেশ্যে। সকালের দিকে তারা কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডে এসে পৌঁছান। এরপর ইউনিটের নিয়মানুযায়ী জৈবনীরাপত্তা গ্রহন করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মূল ইউনিট ঘুরে দেখেন। এসময় শিক্ষার্থীরা মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণের অত্যাধুনিক পদ্ধতি পর্যবেক্ষন। হ্যাজার্ড এনালাইসিস এন্ড ক্রিটিক্যাল কন্ট্রোল পয়েন্ট প্রতিটি ধাপের  বিস্তারিত কার্যপ্রণালী শিক্ষার্থীরা অবলোকন করেন। মাছের এক্সপোর্ট কোয়ালিটি নিশ্চিতকরনের বিভিন্ন দিক নিয়েও কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন। এসময় এই অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আলমগীরসহ ফ্রেশ ওয়াটার ইউনিটের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষাসফরের অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে কতটুকু কার্যকর এ বিষয়ে মৎস্য প্রকৌশল ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের শিক্ষক ড. মো. মোতাহের হোসেন বলেন, ‘এই সফরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তত্ত্বীয় জ্ঞানের পূর্ণতা পেল। একজন দক্ষ মৎস্যবিদ হওয়ার জন্য মাছের গুণমান নিয়ন্ত্রণ ও নিত্যনতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সম্যক ধারনা দিতে এ সফর কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে।’

মাছে ভাতে বাঙ্গালীর রসনাপুর্তির জন্য মাছের কোন বিকল্প নেই। আর বাংলাদেশ থেকে মাছ এখন দেশের চাহিদা পুরণ করে সারা বিশ্বে রপ্তানি হচ্ছে । সারা পৃথিবীব্যাপী মাছের এই ভোক্তাদের কাছে গুণগত মানসম্মত মাছ পৌছানোর জন্য এর ঠিকমত প্রক্রিয়াজাতকরণ ও জৈবনিরাপত্তার ব্যবহার করতে হয়।

আর এই সফরের মাধ্যমে অর্জিত এই জ্ঞান কাজে লাগিয়ে একজন দক্ষ মৎস্যবিদ হয়ে মাছ উৎপাদন ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ভোক্তাদের কাছে তা পৌঁছাতে অবদান রাখতে চান শিক্ষাসফর নিয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থী ফারজানা খানম চাঁদনী।

শুধু চাঁদনী নয় সিকৃবি মৎস্য বিদ্যা অনুষদের ৬ষ্ঠ ব্যাচের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীরই একই চাওয়া। আজকের এই চাঁদনী, আমান, গৌরব, শাকিলরাই ভবিষ্যত বাংলাদেশের মৎস্যবিজ্ঞানী। এদের দিকেই তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ।
SAU
লেখাপড়া২৪.কম/সিলেট/সাফকাত/স্বশা-৪৫৩২
পছন্দের আরো পোস্ট