নবীনদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন
“ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা, ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ, আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা”-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর| উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে আয়তনে দেশের সবেচেয়ে বড় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গণ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। গত ১৭ নভেম্বর জাতীয় স্মৃতিসৌধে শপথ গ্রহন করে শুরু হয়েছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস। নবীন সব ছাত্রছাত্রীর পদচারণায় গণবির গোটা ক্যাম্পাসের সবুজ প্রাঙ্গণ এখন উৎসবমুখর। ক্যাম্পাস যেন ফিরে পেয়েছে ভিন্ন প্রাণ।
ক্যাম্পাসের আনন্দময় জীবনের সবচেয়ে বড় এবং সব সময়ের সঙ্গী বন্ধুরা। যদিও স্কুল-কলেজের পুরনো বন্ধুদের ছেড়ে প্রথম কয়েকদিন মন কেমন কেমন করছে। আমরা হাজার হাজার মাইল দূর থেকে একটি নতুন পরিবারে এসেছি তাতে কি? এত ছাত্রছাত্রীর মধ্যে কারও না কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব তো হবেই। এভাবেই তাদের অনুভূতি জানিয়েছেন কিছু শিক্ষার্থী। পড়াশোনার তেমন চাপ থাকে না প্রথম দিকে। নতুন বন্ধু নতুন পরিবেশ পেয়ে জমজমাট সব আড্ডা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সব চত্বর,আপেলতলা, ওয়াইফাই জোন,বকুল তলা এবং ক্যান্টিনসহ কোথাও আড্ডার অন্ত নেই; ক্লাসে বসে অথবা বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে শুরু হয়ে যায় গল্প। কূলকিনারাবিহীন সেসব কথামালা। নান্দনিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি, বাংলাদেশের শান্তিনিকেতন খ্যাত রাজনীতি এবং ধূমপান মুক্ত দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়; যেখানে নান্দনিকের ভূবিন্যাস, প্রকৃতির সব ঐশ্বর্য বিদ্যমান, ঢেউ খেলানো মেঠো রাস্তাঘাট, সুবিশাল মাঠ, ছাতিম আর কাঠবাদাম গাছের সারি আর নাম না জানা গাছপালার ও ফুলের ইন্দ্রজাল।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেই তারা নতুন স্থানে আসায় একটু ইতস্তত বোধ করলেও এসব নবীন শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দিগন্ত জোড়া। আর তা হল পরিবারের, দেশের, সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করা। সুখ কি দুঃখ কোনোটাই চিরস্থায়ী নয়; সুখ-দুঃখ নিয়েই মানুষের জীবন। দুঃখের সময় যদিও বেশি দীর্ঘস্থায়ী মনে হয় তারপরও দুঃখের মেঘ সরে গিয়ে সুখের সূর্য ঠিকই দেখা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেও এ সব সুখ-দুঃখের মাঝেই কেটে যাবে তাদের জীবন রয়ে যাবে শুধু স্মৃতি আর কৃতী। ক্যাম্পাসে আগত নবীন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে কিছু ভালো স্মৃতি নিয়ে সারা জীবনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবে। একাডেমিক শিক্ষাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে আড্ডার মাধ্যমে উঠে আসবে গঠনমূলক, সৃজনশীল কথাবার্তা। আড্ডার মাধ্যমে বিভাগের বিভিন্ন কোর্সের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা তাদের জীবনকে কিভাবে গড়ে তুলবে সেই দিকে মনোযোগী হবে। জীবনের খারাপ দিকগুলোকে দূরে ঠেলে দিয়ে মুক্তবুদ্ধির চর্চার মাধ্যমে শুধু শিক্ষিত না হয়ে সুশিক্ষিত হয়ে সুনাগরিক হিসেবে দেশগড়ার কাজে মনোনিবেশ করবে এটাই হোক নবীনদের প্রতিজ্ঞা।#
লেখাপড়া২৪.কম/গণবি/তারেক/আরএইচ-৪৮৪০