ঢাবিতে প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির আন্তর্জাতিক সম্মেলন

_DSC0018বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির ১৯তম দ্বি-বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও বার্ষিক সাধারণ সভা শনিবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছর সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল “Zoonotic Diseases in Bangladesh” । বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগ যৌথভাবে এ সম্মেলন আয়োজন করে।

 

বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক খান হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান প্রধান অতিথি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সাবেক সচিব সুনীল কান্তি বোস বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট প্রাণিবিজ্ঞানী তৌহিদউদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ারুল ইসলাম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এম নিয়ামুল নাসের।

 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার দেশকে এগিয়ে নিতে চায়। নিরলসভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা ও গবেষণার ফলাফল সাধারণ মানুষের দ্বোরগোড়ায় পৌঁছানোর মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কাজে শামিল হওয়ার জন্য তিনি বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানান।

 

Post MIddle

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নানা সংঘাত ও সহিংসতার চিত্র তুলে ধরে বলেন, পৃথিবীতে একজন মানুষ আরেকজনকে খুব সহজেই হত্যা করছে। অথচ একই প্রজাতির পশু কখনো নিজেদের মধ্যে হত্যাকান্ড চালায় না। হত্যাকারীদের অমানুষ হিসাবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, প্রাণিকুল বা প্রকৃতি থেকে শিক্ষা নিয়ে মানুষের মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। তিনি বলেন, বিশ্ব সভ্যতা সন্ত্রাস, সহিংসতা ও সাম্প্রদায়িকতার কারণেই আজ সংকটের মুখে পড়েছে। গবেষণার মাধ্যমে প্রাণিবিজ্ঞানীদের এ সংকট থেকে পরিত্রাণের উপায় বের করতে হবে। মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন জাতি গঠনের ক্ষেত্রেও তাদের কাজ করতে হবে।

 

বিজ্ঞানভিত্তিক সঠিক শিক্ষাই সকল সামাজিক ব্যাধির প্রতিষেধক হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষাসহ সকল পর্যায়ে বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞানমনষ্ক ও সত্যিকার মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। উপাচার্য মহান বিজয়ের মাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, তাঁর অসাধারণ অবদানের কারণেই আমরা আজ স্বাধীন দেশের নাগরিক। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসাবে গড়ে উঠার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।

 

লেখাপড়া২৪.কম/ঢাবি/পিআর/এমএএ-০৩০৩

পছন্দের আরো পোস্ট