কীভাবে সাজাবেন জীবনবৃত্তান্ত

CVকর্মজীবনের জন্য প্রথমই দরকার সুন্দর ও সাজানো-গোছানো একটি জীবনবৃত্তান্ত। মনে রাখবেন সঠিকভাবে জীবনবৃত্তান্ত তৈরি না করলে আপনার আবেদনপত্র বাতিল হতে পারে।

 

Post MIddle

জীবনবৃত্তান্ত হতে হবে পেশাদার। আসুন জেনে নেই চাকরিদাতার কাছে নিজেকে তুলে ধরার উপযুক্ত কৌশল।
এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন-
১. ইংরেজিতে তৈরি করুন। তবে প্রতিষ্ঠানের নীতি অনুসারে তা বাংলায়ও হতে পারে।
২. ইংরেজিতে তৈরি করলে লেখার ফ্রন্ট ‘টাইমস্ নিউ রোমান’, বাংলায় হলে ‘সুতন্বি এমজে’ রাখুন।
৩. ফ্রন্ট সাইজ ১২ আর লাইন স্পেস হোক ১.৫। সিভির প্রধান শাখাগুলো বোল্ড করে দিন।
৪. পয়েন্টগুলো এমনভাবে সাজান, যেন নিয়োগকর্তা পরের অংশটি পড়তে আকৃষ্ট হন।
৫. শুধু শুধু অতিরঞ্জিত করবেন না। নিজের শক্তি ও দুর্বলতার জায়গাগুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন।
৬. শুরুতেই সদ্য তোলা ছবি এবং পত্র যোগাযোগের ঠিকানা জুড়ে দিন।
৭. ভাষা রাখুন সহজবোধ্য ও সংক্ষিপ্ত।
৮. তথ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটাবেন না।
৯. দুই পৃষ্ঠার বেশি না করাই ভালো। তবে অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতাভেদে ব্যতিক্রম ঘটলে ক্ষতি নেই।
১০. তিনটি জিনিস বজায় রাখবেন। যেমন- ক. বাক্য হবে সহজ-সরল, খ. ছোট বাক্য লিখবেন, গ. হেডিং আর তারিখ যেন মূল টেক্সটের ফ্রন্ট সাইজের থেকে আলাদা হয়।
১১. কোনো ভাষা শিক্ষা, কম্পিউটার কোর্স ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করলে তাও উল্লেখ করা প্রয়োজন।
১২. শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে বাড়িয়ে বলবেন না।
১৩. নির্দিষ্ট কাজের সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন ওয়ার্কশপ, সেমিনারে অংশ নিলে তা উল্লেখ করুন।
১৪. কোনো পুরস্কার বা স্বীকৃতি পেলে তা হাইলাইট করুন।
১৫. শখের জন্য একটি সাবহেড আলাদা করে তৈরি করতেই পারেন।
১৬. শিক্ষাজীবনে এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটি থাকলে তা লিখতে পারেন।
১৭. রেফারেন্স দিতে হয়। এমন দু’জন ব্যক্তির রেফারেন্স দেবেন যারা নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ও আপনার পরিচিত।
১৮. লেখা শেষে প্রত্যায়িত করতে ভুলবেন না। এটি হবে স্ব-প্রত্যায়িত।#

 

 

লেখাপড়া২৪.কম/সজীব/আরএইচ-৪৮২৮

পছন্দের আরো পোস্ট