ঢাবিতে আন্তর্জাতিক বোস কনফারেন্স শুরু

Bose Conferenceঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বোস সেন্টার ফর এ্যাডভান্সড স্টাডি এন্ড রিসার্চ ইন ন্যাচারাল সায়েন্সেস-এর উদ্যোগে Recent Trends in Physical Sciences শীর্ষক ২য় আন্তর্জাতিক বোস কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আজ (৩ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।

 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সত্যেন্দ্র নাথ বোসের জীবন ও কর্মের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এস এন বোসের ছাত্র অধ্যাপক পার্থ ঘোষ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি হিসাবে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল আজিজ, বোস সেন্টার ফর এ্যাডভান্সড স্টাডি এন্ড রিসার্চ ইন ন্যাচারাল সায়েন্সেস-এর প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক ড. এ এম হারুন-অর-রাশিদ এবং বর্তমান পরিচালক অধ্যাপক ড. শামীমা কে চৌধুরী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কনফারেন্স আয়োজক কমিটির সদস্য-সচিব ড. ইশতিয়াক এম সাঈদ।

 

Post MIddle

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মকা- গ্রহণ ও বাস্তাবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পদার্থবিজ্ঞানী এস এন বোস স্মরণে এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের আয়োজন করায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এস এন বোস পৃথিবীকে অনেক কিছু দিয়ে গেছেন বিশেষ করে পদার্থ বিজ্ঞানে তাঁর আবিষ্কার ও গবেষণা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক দু’দিন-ব্যাপী এই আন্তর্জাতিক বোস কনফারেন্সে আগত দেশী-বিদেশী অংশগ্রহণকারীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বিজ্ঞানী এস এন বোস ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণার পাশাপাশি তিনি সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চাও করেছেন। তিনি বাংলা ও ইংরেজি ভাষার মত বিভিন্ন ভাষায় বিশেষ করে ফ্রান্স ও জার্মান ভাষায়ও পারদর্শী ছিলেন। মাতৃভাষা অর্থাৎ বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান শিক্ষা গ্রহণের ওপর সব সময় জোর দিয়েছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ছিলেন এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ বছর শিক্ষকতা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং গোটা বিশ্বের বিজ্ঞান জগতে তাঁর অবদান অমর হয়ে থাকবে।

 

 

পছন্দের আরো পোস্ট