কালচারাল ফেস্টিভ্যালে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

12319796_10205535659770997_2127258298_nবিশ্বের শতাধিক দেশকে হারিয়ে উম্মাতিক কালচারাল ফেস্টিভ্যাল-২০১৫ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। এতে অংশ নিয়েছিল বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশের শিক্ষার্থীরা।

 

সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারাল অ্যাক্টিভিটি সেন্টারে (সিএসি) অনুষ্ঠিত হয় উম্মাতিক ফেস্টিভ্যালের ফাইনাল রাউন্ড। গত ২৪ নভেম্বর থেকে প্রতিদিনই বিভিন্ন দেশের পরিবেশনা শেষে উম্মাতিক ফেস্টিভ্যালের ফাইনাল রাউন্ডে বিজয়ের হাসি ছিল বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের মুখেই। অনুষ্ঠানে প্রাণবন্ত উপস্থাপনা করেন সোমালিয়ার আবদুল ঘানি ও প্যালেস্তাইনের লীন।

 

শেষের দিক থেকে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করছিল ভাষ্যকার। একে একে সবার শেষে বিজয়ী হিসেবে বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করেন ভাষ্যকারদ্বয়। মুহূর্তে ‘বাংলাদেশ’ ‘বাংলাদেশ’ ধ্বনিতে কেঁপে উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসি অডিটোরিয়াম। চারপাশ থেকে বাংলাদেশের পতাকা হাতে উল্লাসে মেতে উঠে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা। তাদের সাথে আনন্দ ভাগ করতে অডিটোরিয়ামের খোলা চত্বরে নেমে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও।

 

12274361_895959827191583_3111028378947618204_nএর আগে ৭ দিন ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতির প্রদর্শনী হয়। প্রদর্শনীতে অধ্যয়নরত আইআইইউএম-এর বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা তুলে ধরেছিলেন দেশীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন রূপ। এতে স্থান পায় দেশের মানচিত্র, স্বাধীনতার ইতিহাস সংবলিত লেখা, লালনের ছবি, নকশি কাঁথা, রিকশা, পালকিসহ গ্রামীণ সংস্কৃতির প্রায় সবই। সঙ্গে ছিল দেশীয় খাবারের সমাহার। বাংলাদেশের স্টল পরিদর্শনকারীদের দেশীয় খাবার ও মিষ্টান্ন খেতে দেওয়া হয়।

 

Post MIddle

বাংলাদেশি ছাত্রীরা বিদেশি মেয়েদের হাতে মেহেদি পরিয়ে দেন। এছাড়া স্টলে আসা দর্শকদের বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর এবং দেশের সংক্ষিপ্ত পরিচয় উপস্থাপন করেন স্টলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীরা। বিদেশে একটুকরো বাংলাদেশ।

 

বাংলাদেশ পর্বের শুরুতে পরিবেশিত হয় দেশের ওপর নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্যের একটি প্রামাণ্যচিত্র। উৎসবে ১৮ জনের একটি দল দেশের গান ও আধুনিক গানের তালে এবং বিভিন্ন পোশাক পরে নৃত্য পরিবেশন করে। পরিবেশনা শেষে তাঁরা মানব স্মৃতিসৌধ তৈরি করেন। এ সময় গ্যালারির হাজারো দর্শকের হাততালি ও ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ ধ্বনিতে পুরো প্রকম্পিত হয়ে ওঠে হলরুম।

 

আইআইইউএমের বিবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ টিমের প্রধান মাহমুদ খালিদ দ্য রিপোর্ট-কে বলেন, এইতো কিছু দিন আগে ২০১২ সালে বাংলাদেশ কালচারাল টিমের অবস্থা এত খারাপ ছিল যে সে বছর বাংলাদেশ অংশ নেয় নি। তখন ই সিদ্ধান্ত নেই আমাদের টিমও প্রতিবছর প্রতিযোগিতায় অংশ নিবে এবং আমরা চ্যাম্পিয়ন হব। তার ধারাবাহিকতায় গত বছর আমরা রানার্সআপ হই। এবং এবার বিজয়ের স্বাদ গ্রহন করি। এ বিজয়ের মাধ্যমে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের মর্যাদা আরও একধাপ এগিয়ে গেল।

 

তিনি আরও বলেন, আইআইইউএম- এর বাংলাদেশ কমিউনিটি বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশকে গৌরবের আসনে আসীন করতে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই প্রচেষ্টার ক্ষুদ্র অংশ হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। তাছাড়া আমাদের কমিউনিটি আজ আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।#

 

 

লেখাপড়া২৪.কম/নাঈম/মালশিয়া/আরএইচ-৪৭৭৭

পছন্দের আরো পোস্ট