২০০০ শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে ল্যাপটপ ড্যাফোডিলে

২৮তথ্য প্রযুক্তির ক্রমবিকাশমান ধারার সাথে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে যুগোপযোগী করে তুলতে এবং প্রতিযোগীতা মূলক চাকরি বাজারে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘একজন ছাত্র একটি ল্যাপটপ’ প্রকল্পের নিয়মিত কর্মসূচীর অংশ হিসাবে আজ (২৮নভেম্বর)আশুলিয়ার স্থায়ী ক্যাম্পাসে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ২০০০টি ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাষ্ট্রিজ এর চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ল্যাপটপ বিতরণ করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান।

 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ এম ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ হামদিুল হক খান ও রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. ইঞ্জিানয়ার এ কে এম ফজলুল হক। ল্যাপটপ প্রদানের পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও এমিরিটাস অধাপক ড. এম লুৎফর রহমান একাডেমিক ও শিক্ষা কার্যক্রমে ল্যাপটপের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রত্যয়ে শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করান।

 

উল্লেখ্য সামার-২০১০ সেমিষ্টার থেকে ”ওয়ান স্টুডেন্ট: ওয়ান ল্যাপটপ” কর্মসূচীর আওতায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তিকৃত সকল শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিনামূল্যে ল্যপটপ প্রদান করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ স্প্রিং ২০১৪ ও সামার ২০১৪ সেমিস্টারে ভর্তি হওয়া ২০০০ াশক্ষার্থীর হাতে ল্যাপটপ তুলে দেয়া হল। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট বার হাজার শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে ল্যাপটপ প্রদান করা হল।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ই্উজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেন, প্রযুক্তি আজ শিক্ষা গ্রহণ ও প্রদানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ল্যাপটপ বিতরণের উদ্যোগ একটি সাহসী ও সময়োপযোগি পদক্ষেপ। তিনি শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার অঅহ্বান জানান। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম ঘোষনাই ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং সে লক্ষ্য পূরনে সরকার সফল হয়েছে।

 

তিনি আরো বলেন এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্মেকে প্রযুক্তি জ্ঞানে দক্ষ করে বাস্তব ও কর্মমুখী জীবনে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সহজে সমাধান করতে উপযোগী করে তুলতে হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রাত্যহিক জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ন বিশেষ করে শিক্ষা ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সরকারের পাশাপাশি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পরিচালিত বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

 

Post MIddle

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আত্মত্যাগ করেছিলেন বর্তমান প্রজন্মের উচিত নিজেদেরকে সেভাবে প্রস্ফুটিত করে বাংলাদেশকে একটি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তুলে নিজেদের যোগ্যতা প্রমান করা।

 

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাষ্টিজ এর চেয়ারম্যান মো: সবুর খান বলেন, প্রতিটি শিক্ষার্থীদের হাতে ল্যাপটপ তুল দেয়া হয়েছে যাতে তারা প্রতিযোগিতা মূলক চাকুরীর বাজারে নিজেকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলে তাদের স্বপ্নের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। তিনি শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপের সঠিক ব্যবহার ও প্রয়োগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

 

আগামীতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে এক নম্বর অবস্থানে দেখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনে গুনগত শিক্ষার পরিবেশ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে এবং তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে দক্ষ এবং ক্রীড়ামনস্ক দক্ষমানব সম্পদ ও উদ্যক্তা তৈরীর লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

Laptop

লেখাপড়া২৪.কম/ড্যাফোডিল/পিআর/স্বশা-৪৪৮৫

পছন্দের আরো পোস্ট