পল্লীমঙ্গল সরকারি স্কুলে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস

photoবাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নের ১৭৯ নং খালকুলিয়া পল্লীমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে। অবকাঠামোগত ঝুঁকি ও আসবাবপত্রের চরম সংকটের কারনে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। ঝুঁকির কারণে শিক্ষার্থীদের রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে খোলা মাঠে ক্লাশ করতে হচ্ছে।

 

১৯৭০ সালে উপজেলার প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়টি ১৯৯৫ সালে পূনঃনির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় হয় ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। ২১ বছর পূর্বে নির্মিত এ বিদ্যালয়টি এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের কোন দূর্ঘটনা। প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে নিশ্চিতে থাকতে পরছেননা অভিভাবকরা। ভেঙ্গে পড়ার ভয়ে বৃষ্টি হলে অভিভাবকরা তাদের শিশুদের বিদ্যালয় থেকে নিয়ে যায়। তাছাড়া ভূমিকম্পের আতঙ্কতো রয়েছে। ছাদের সেল্টার গ্রেড ভিমেই ফাটল, দরজা নেই, জানালা নেই। নেই প্রয়োজনীয় বেঞ্চ ,চেয়ার, টেবিল । প্রতিটি পিলারের পলেস্তরা খসে খসে পড়ে রড দৃশ্যমান। ক্লাস রুমের পলেস্তরাও প্রতিনিয়ত ঝরে পড়ছে। বিদ্যালয়ের এ বিপদজ্জনক অবস্থার কারনে নতুন বছরে অন্যত্র ভর্তি হবে বলে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া আকতার, তুলি আকতার জানায়।

 

Post MIddle

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক এসএম মনিরুজ্জামান, সহ-সভাপতি মহিদুল ইসলাম আঙ্গুর জানান, বিদ্যালয়ের অবকাঠামো খুবই নাজুক। দূর্ঘটনার ভয়ে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয় পাঠাতে চায়না। ফলে প্রতিনিয়ত ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। প্রধান শিক্ষিকা মাহামুদা খানম জানান, ৭ বছর ধরে বিদ্যালয়টির ভগ্নদশা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। অভিভাবক ফাতেমা বেগম ও মনিরুজ্জামান ক্ষোভের সাথে জানান, পার্শ্ববর্তী একটি সরকারি বিদ্যালয়ে সাইক্লোন সেল্টার কাম বিদ্যালয় থাকলেও পরিত্যক্ত ভবনের জন্য আবারো বরাদ্ধ হয়। অথচ এ বিদ্যালয়ের দিকে কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই। অত্র গ্রামে এইএকটাই প্রাথমিক বিদ্যালয়। তাছাড়া এ গ্রামে নেই কোন সাইক্লোন সেল্টার। তাই বিদ্যালয়টি সাইক্লোন সেল্টার কাম বিদ্যালয় হলে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস সহ বন্যায় এলাকাবাসি পাশাপাশি কাজে আসবে বলে এলাকাবাসি জানায়।#

 

 
লেখাপড়া২৪.কম/মেহেদী/আরএইচ-৪৬৪০

পছন্দের আরো পোস্ট