ফটোগ্রাফিতে সেরা পুরস্কার পেলেন শরীফুল

1930578_27288457502_3917_nএকই জিনিস ভিন্ন চোখে দেখার সুপ্ত ভাসনা মনে লালন করতেন অনেক আগে থেকেই। সুযোগ পেলেই সেটা বন্দী করতেন সাথে থাকা ক্যামেরার ফ্রেমে। নির্বাক সেই ছবিগুলো কথা বলতো, পেছনে থাকতো গল্প। অন্যদের চেয়ে শরীফুল ইসলাম এখানেই আলাদা। এর স্বীকৃতিও পেয়েছেন অনেকবার। তবে এবারেরটা ভিন্ন। চীন বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের চল্লিশ বছর উপলক্ষে তাকে সম্মানিত করার হয়েছে সেরা ফটোগ্রাফার হিসাবে।

 

রেডিও চায়না, চায়না দূতাবাস ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের যৌথ উদ্যেগে সম্প্রতি আয়োজন করা হয়েছিল ইমেজ অব ফ্রেন্ডশীপ বিটুইন চায়না এন্ড বাংলাদেশ শীর্ষক ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার।
প্রায় পাঁচশ‘ প্রতিযোগির কয়েক হাজার ফট্রোগ্রাফি থেকে চূড়ান্তভাবে একশ ছবি নির্বাচন করা হয় প্রদর্শনীর জন্য। সেখান থেকে ল্যান্ডস্কেপ, পোট্রেট ও মানবিক আবেদন- এই তিনটি ক্যাটাগরিতে ২টি বিশেষ পুরস্কারসহ মোট ২০টি পুরস্কার দেয়া হয়। ২টি বিশেষ ক্যাটাগরির সেরা পুরস্কারটি হাতে তুলে নেন শরীফুল ইসলাম। এ ছাড়া পোট্রেট ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় সেরার পুরস্কারটিও তিনি পান। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশী চিত্রগ্রাহক এ ধরনের পুরস্কার জিতে নেন।

 

শরীফুল ইসলাম প্রায় দুই দশক ধরে পেশাদার চিত্রগ্রহনের সাথে জড়িত রয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাডেমিক পড়াশোনা শেষ করার আগেই ফটোগ্রাফির সাথে নিজেকে যুক্ত করেন তিনি। দেশের শীর্ষস্থানীয় বেশ কিছু সংবাদপত্রে ফটোজার্নালিস্ট হিসেবে কাজ করেন। ইত্তেফাক, ইনকিলাব, নয়া দিগন্ত পত্রিকায় পেশাদার ফটোগ্রাফির দায়িত্ব পালন শেষে শরীফুল ইসলাম এখন চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া-তে স্টাফ ফটোজার্নালিস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

 

Post MIddle

এর আগে বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউট থেকে পেশাদার সাংবাদিকতার ওপর তিনি পোস্টগ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা করেন। এ ছাড়া সাউথ এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব ফটোগ্রাফি-পাঠশালা থেকে ফটোজার্নালিসম এর ওপর ডিপ্লোমা করেন।

 

সিরাজগঞ্জে জন্ম শরীফুল ইসলাম এর আগেও ফটোগ্রাফির ওপর বেশ কিছু মর্যাদাশীল পুরস্কার অর্জন করেছেন। তার মধ্যে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব মাস কমিউনিকেশন (নিমকো), ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফটোগ্রাফিক সোসাইটি (ডিইউপিএস) আয়োজিত ফটো কনটেস্ট এর সেরা ফটোগ্রাফারের পুরস্কার উল্লেখযোগ্য।

 

পুরস্কার প্রাপ্তি এবং নিজের ফটোগ্রাফি সম্পর্কে বলতে গিয়ে শরীফুল ইসলাম জানান, ছোটবেলা থেকেই কবিতা আবৃত্তি, মঞ্চ নাটকে অভিনয়সহ নানান সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে নিজেকে যুক্ত করেছি এবং পুরস্কৃত হয়েছি। কৈশোর অতিক্রম করার সময় মনে হলো, ছবির মাধ্যমেও শিল্পচর্চা সম্ভব।এবং সেই শিল্পচর্চায় এক ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকে। চ্যালেঞ্জ জয়ের আনন্দও থাকে। এভাবেই নির্বাক ছবিকে গল্পে রূপান্তরের লোভ এক সময় আমাকে ভালোভাবে পেয়ে বসল। আমি ফটোগ্রাফিতে পুরো মনোযোগ ঢেলে দিলাম। এখনো মনের আনন্দেই ফটোগ্রাফি করি। তবে এভাবে পুরস্কার পেয়ে যাওয়াটা নিজের কাজে আরো মনোনিবেশ করতে উৎসাহ জোগায়। #

 

 

 

লেখাপড়া২৪.কম/প্রেবি/আরএইচ-৪৫৫৩

পছন্দের আরো পোস্ট