সংঘর্ষের ঘটনায় জাবির ১৬ ছাত্র বহিষ্কার: তদন্ত কমিটি গঠন

জাবিজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দলের ১৬ জন নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে সিন্ডিকেটের সদস্য রাশেদা আক্তারকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয় বলে প্রক্টর তপন কুমার সাহা জানান।

হলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ভোরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অভিযোগ মতে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হল শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

 

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন, ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক কে. এম নুরুন নবী (বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স), মওলানা ভাসানী হল শাখার সাধারণ সম্পাদক অনিন্দ বাড়ৈ (নৃবিজ্ঞান), মো. এ কে খায়রুজ্জামান ওরফে সঞ্চয় (ইতিহাস), খন্দকার নাইম-উল ইসলাম ওরফে নইম (মার্কেটিং), কিশোর দাশ (পদার্থ বিজ্ঞান), সাদ্দাম হোসেন (উদ্ভিদ বিজ্ঞান), এম মাঈনুল হোসাইন ওরফে রাজন (নৃবিজ্ঞান), শান্ত কুমার নাথ (পরিবেশ বিজ্ঞান), শিহাব খন্দকার ওরফে শিহাব (পরিবেশ বিজ্ঞান), রাজ প্রসাদ ওরফে রাজ (পরিবেশ বিজ্ঞান), তানভীর সজিব (মার্কেটিং), মো. আদেল আল নোমান (মার্কেটিং), রায়হান হাবীব (মার্কেটিং), মো. নিশাত রহমান (ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং), শাকিল উজ জামান ওরফে শাকিল (ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং) ওইশতিয়াক আহমেদ ওরফে বিজয় (রাসয়ন)। বহিষ্কৃতরা প্রায় সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে মো. এ কে খায়রুজ্জামান ওরফে সঞ্চয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী।

হামলার ঘটনায় ছাত্র-শিক্ষক ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতারকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তিতে করে অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা কারারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।#

আরএইচ/ইএইচ

 

 

পছন্দের আরো পোস্ট