১০০ দেশের ১০০০ শিক্ষার্থীর বিশেষায়িত ও খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠান লন্ডন স্কুল অব কমার্স

images (3)ইউরোপ, আমেরিকায় ভালো মানের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এর পাশাপাশি রয়েছে মধ্যম ও নিম্নমানের এবং সাইনবোর্ড সর্বস্ব বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ও। ফলে ব্রিটেন, আমেরিকা যেখানেই হোক পড়াশুনাই যদি মুখ্য হয়, তাহলে আগে ভালোভাবে খোঁজ নিতে হবে মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে। ভালো মানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে উন্নত লেখা পড়ার পাশাপাশি ভিসা পাওয়াও সহজ হয়। বর্তমান সাইবার যুগে যেখানে ক্লিক করলেই চলে আসে শত সহস্র কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আদি অন্ত, সেখানে কাজটি খুব কঠিন বা সময় সাপেক্ষও নয়। বিশেষ করে এসব কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য থেকে অপেক্ষাকৃত উন্নত প্রতিষ্ঠান গুলোকে হাইলি ট্রাস্টেড বা এ, বি, সি গ্রেডের মাধ্যমে নির্ণয় করার মধ্য দিয়ে কাজটিকে অনেক সহজ করা হয়েছে। ফলে অপেক্ষা কেবল গ্রেড লিখে সার্চ দেয়ার। পাশাপাশি ব্রিটিশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তাদের এডুকেশন গাইডেও বিস্তারিত উল্লেখ থাকে। চাইলেই সরাসরি ব্রিটিশ কাউন্সিলের আঞ্চলিক কার্যালয়ে গেলেই এসব বিস্তারিত খোঁজ খবর জানা যাবে। এর পরও ফেইসবুক, ওয়েব সাইট ইত্যাদির পাশাপাশি আমরাও ইউরোপের নাম করা বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরছি। এই পর্বে থাকছে যুক্তরাজ্যের ঐতিহ্যবাহী লন্ডন স্কুল অফ কমার্স সম্পর্কে।
এমবিএ, ফাইন্যান্স, মার্কেটিং ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস-এ বিশেষায়িত ও খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠান লন্ডন স্কুল অব কমার্স। বিশ্বের ১০০টি দেশের ১০০০ শিক্ষার্থি এখানে লেখাপড়া করছে। লন্ডনে এলএসসি-ই প্রথম কলেজ যে, ইউকের বর্ডার এজেন্সি কর্তৃক হাইলি ট্রাস্টেড স্পন্সর স্ট্যাটাটাস অর্জন করে এবং টায়ার ফোর স্টুডেন্ট ভিসার আওতাভুক্ত হয়। একই সাথে এলএসসি পূর্ণাঙ্গ ভাবে ‘এক্রিডিটেশন সার্ভিস ফর ইন্টারন্যাশনাল কলেজেস’ অনুমদিত এবং ‘এডুকেশন ইউকে’ এর মেম্বার প্রতিষ্ঠান। imagesঅন্যদিকে এটি ইনফরমেশন কম্যুনিকেশন টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে ইনিশিয়েটিভ অফ দ্যা ইয়ার ভূষিত কলেজ। পাশাপাশি এই কলেজ ‘দ্যা টাইমস্ হায়ার এডুকেশন লিডারশিপ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাওয়র্ড’ এর জন্য একাধিকবার মনোনীত হয়। এলএসসি গ্র“প পরিচালিত এই কলেজ এলএসসি সেইন্ট পিরান্স স্কুল (জিবি) লিঃ এর একটি ডিভিশন এবং লন্ডনের জগৎ বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি- কার্ডিফ মেট্রোপলিটনের একটি অ্যাসোসিয়েট কলেজ। এর এমবিএস ও এমএসসি এর মত ফার্স্ট ট্রাক কোর্সগুলো যেমনি সমসাময়িক, তেমনি কস্ট ইফেকটিভ এবং আছে এক্রিডিটেড কোয়ালিফিকেশনস্। এক কথায় গ্লোবাললি রিকনাইজড্ ব্রিটিশ ডিগ্রি এবং যার অ্যাওয়র্ডিং বডি কার্ডিফ মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি। বিশেষকরে এলএসসি সেইসব পার্টনার বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌজন্যে পরিচালিত, যারা ইউরোপের সর্ব বৃহৎ এমবিএ প্রোভাইডার।
এদের একাডেমিক কোর্সগুলো হচ্ছে : এমবিএ, বিএ (অনার্স) বিজনেস স্ট্যাডিজ, এমএসসি- ইনফরমেশন টেকনোলজি, এমএসসি- ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, এমএসসি- ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট, বিএসসি (অনার্স) কম্পিউটিং এবং পিএইচডি/প্রফেশনাল ডক্টরেট। এসব কোর্সের মেয়াদ ০১ থেকে ০৩ বছর।
ভিসা প্রাপ্তি বা আবেদনের বিষয়টি সচরাচর যে নিয়ম রয়েছে সেভাবেই করা হয়। ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে আই টুয়েন্টি/কাস লেটার ও ব্যাংক সলভেন্সি তথা স্পন্সরই হচ্ছে মূখ্য বিষয়। তবে ভালো কনসালটেন্সি ফার্মের সহায়তা নিলে কোন জটিলতা, বিলম্ব কিংবা রিফিউজের সম্ভাবনা থাকেনা। তবে এলএসসি’র শিক্ষার্থীদের ভিসা সাধারণত রিফিউজ হয় না; কলেজটির মান তথা খ্যাতির কারনে। এলএসসি’র স্টুডেন্ট মানেই ভিসা’ শির্ষক একটি ধারণাও প্রচলিত আছে। তবে এলএসসিতে ভর্তির বিষয়টিই কিছুটা টাফ, যা প্রতিষ্ঠানের রেপুটেশন ও শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান চাপের কারণে হচ্ছে।
বিষয় ভেদে বিভিন্ন হারের জিপিএর ভিত্তিতে এখানে ভর্তি নেয়া হয়। ইংলিশ মিডিয়ামের স্টুডেন্ট বা ইংরেজির শিক্ষার্থীদের আইএলটিএস এর প্রয়োজন নেই।
আরও তথ্যের জন্য অনলাইন ও ওয়েব সাইটের সহায়তায় নেয়া যেতে পারে। এ জন্য সার্চ করতে www.lsclondon.co.uk অ্যাড্রেসে অথবা মেইল করা যেতে পারে info@lsclondon.co.uk এই এড্রেসে।

Post MIddle

images (4)

পছন্দের আরো পোস্ট