ক্যারিয়ার গড়তে পারেন ফার্মাসিস্ট হয়ে

pharmacy-lab

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর গত বছরে উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মিজান। একবার ভাবেন, ডাক্তার হবেন; আবার ভাবেন, নাহ! ইঞ্জিনিয়ারই হবেন। এই দোটানায় প্রস্তুতিটা ভালো হয়নি তার। শেষ পর্যন্ত ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ারিং কোথাও ভর্তি হতে পারেন নি। মিজান এবারও উচ্চ শিক্ষায় ভর্তি হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

 

এদিকে আগামী ১৩ আগস্ট প্রকাশিত হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। তাদের অনেকেই পড়তে পারেন মিজানের মতো দোটানায়। তাই দরকার আগে থেকে সিদ্ধান্ত- কোন বিষয়ে পড়তে চান আপনি। লক্ষ্যটা যদি হয় ফার্মাসিস্ট হওয়া, তবে জানতে হবে- কোথায় কোন বিষয়ে ভর্তি হবেন, ভর্তির যোগ্যতা, ফলাফল, ভর্তি পরীক্ষা প্রক্রিয়া ইত্যাদি।

একই সঙ্গে জেনে নিতে হবে পড়াশোনা শেষে চাকরির সুযোগ, বেতন বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কেমন?

কোথায় পড়বেন:

দেশের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি পড়ার সুযোগ রয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালগুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়,খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়,নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম।

এ ছাড়া অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসিতে ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ আছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা ও তথ্যের জন্য ইউজিসির www.ugc.gov.bd ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।

ভর্তির যোগ্যতা:

Post MIddle

ফার্মেসি পড়তে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকেজীববিজ্ঞানসহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা সম্পন্ন ফলাফল থাকতে হবে। এরপর ভর্তি পরীক্ষার কঠিন যুদ্ধের মাধ্যমে আপনার কাঙ্ক্ষিতবিষেয় ভর্তি হতে পারবেন।

ফার্মেসিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর মেয়াদি বি ফার্ম শেষে যেকোনো ওষুধ প্রস্তুত ও বিপণনকারী কোম্পানিতে এক মাসের ইন্টার্নি সম্পন্ন করতে হয়। এরপর বাচাই পরীক্ষায় যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলেই কাঙ্ক্ষিত চাকরি মিলবে।

কাজের সুযোগ:

দেশে বর্তমানে আড়াইশ’র বেশি ওষুধ প্রস্তুত ও বিপণনকারী কোম্পানি সক্রিয়। এসব কোম্পানি দেশের চাহিদা পূরণ করে আর্ন্তজাতিক বাজারেও ওষুধ রপ্তানি করছে। এসব কোম্পানির প্রোডাকশন, প্রোডাক্ট ম্যানেজম্যান্ট, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, ট্রেনিংসহ বিভিন্ন বিভাগে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষকতা, গবেষণা এবং দেশের বাইরে কাজ করার সুযোগ তো আছেই।

এ ছাড়া ফার্মাসিউটিক্যাল মার্কেটিংয়ে তাদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এর বাইরে সরকারি অফিসগুলোর মধ্যে কমিউনিটি স্বাস্থ্য সেবা, আর্মড ফোর্সেস, সরকারি হাসপাতাল, ওষুধ প্রশাসনসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন উচ্চ পদে ফার্মাসিস্টরা চাকরি পেতে পারেন। বেসরকারি হাসপাতালে ও ক্লিনিকে ফার্মাসিস্ট পদে, ক্লিনিক্যাল ফার্মাসিস্ট, ফার্মেসি ম্যানাজার ছাড়াও প্রশাসনিক ও তথ্য বিভাগে এদের কাজের সুযোগ রয়েছে। আবার যারা শিক্ষাক্ষেত্রে জড়িত থাকতে চান, তারা শিক্ষকতা, গবেষণা, স্বাস্থ্য রক্ষা ও উন্নয়ন বিষয়ক প্রশাসনিক দপ্তরেও কাজের সুযোগ মিলতে পারে।

আপনিও হতে পারেন কোম্পানির মালিক:

নিজেকে যোগ্যভাবে তুলে ধরতে পারলে আপনি হতে পারেন একটি ওষুধ কোম্পানির মালিক। কারণ দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, নিজের আইডিয়া তুলে ধরতে পারলে বিভিন্ন ব্যাংক আপনাকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করবে। ব্যক্তিগত যোগাযোগ তো থাকছেই। আর একজন দক্ষ ফার্মাসিস্ট মাসে ৫০ হাজার টাকা বা এর চেয়ে বেশি রোজগার করতে পারেন।

EH

পছন্দের আরো পোস্ট