রাবির হল খুলেছে: ক্যাম্পাসের টানে বাড়ি ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে রাজশাহী বিশ্বদ্যিালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়ার পর ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল ৯টা থেকে হলে প্রবেশ করতে থাকেন তাঁরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা চালু হওয়ার আরও দুই দিন বাকী থাকায় ও ডাইনিংগুলোতে খাওয়া নিয়ে দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তুলনামুলক কম লক্ষ করা গেছে।  RU
আবাসিক হলগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২৪ জুলাই থেকে বন্ধ হওয়া হলগুলো সোমবার সকালে খুলে দেয়ার পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসতে থাকেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রতিটি হলে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী হলে প্রবেশ করেছেন। তবে ছাত্রীদের তুলনায় ছাত্ররাই বেশি হলে এসেছেন। ছাত্রীদের ৫টি হলে সোমবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত আন্তত শতাধিক শিক্ষার্থী হলে উঠেছেন। ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী ও নগরীতে অবস্থান করা রাবি শিক্ষার্থীদের অনেকেই এরই মধ্যে বাড়ি ছেড়ে রাজশাহী এসেছেন। তবে রাবিতে ২২ জুলাই থেকে টানা ১৫ দিন বন্ধ শেষে আগামী ৬ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেকিম কার্যক্রম চালু শুরু হওয়া এবং হলের ডাইনিংগুলোতে খাওয়া নিয়ে দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে এখনও অনেক শিক্ষার্থী বাড়িতেই রয়েছেন। হল ও মেস চালু থাকলেও তাঁরা এখনও ক্যাম্পাসে আসেননি।
এরই মধ্যে ক্যাম্পাসে আসা শাহ মখদুম হলের আবাসিক ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাড়িতে ঈদ ভালোই কাটিয়েছি। অনেক দিন পর সকলকে পেয়ে খুব মজা হচ্ছিল। তবে চতুর্থ বর্ষের চুড়ান্ত পরীক্ষা থাকায় হল খোলার সাথে সাথে আমিও এসেছি।
তবে হলে আসা একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস গত রোববার থেকে চালু হওয়ার পরেও হলে বাথরুম ও শৌচাগারগুলো পরিস্কার করা হয়নি। হলের বিভিন্ন স্থানে নোংড়া আবর্জনা পরে থাকতেও দেখেছেন তাঁরা।
তবে বাড়িতে থাকা দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মিরাজ ও ফিরোজ জানান, বিভাগে প্রতিদিন অনেক ক্লাস ও অ্যাসাইন্টম্যান্ট থাকার কারণে খুব একটা বাড়ি আসা হয়না। তাই ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে আর যেতে ইচ্ছা করছে না। এছাড়াও ক্যাম্পাসে গিয়ে হলের অস্বাস্থ্যকর খাবারের কথা চিন্তা করে বাড়ি ছাড়তে মন চায়না। তবে আগামী বুধবার থেকে ক্লাস থাকায় বাধ্য হয়েই আমাদের ক্যাম্পাসে যেতে হবে।
প্রাধ্যক্ষ কাউন্সিলের আহ্বায়ক ও শাহ মখদুম হল প্রাধ্যক্ষ ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, হলে কম শিক্ষার্থী থাকলে বাধ্য হয়েই ডাইনিং রাখা হয়। তবে শিক্ষার্থীরা আসলে যথারীতি ডাইনিং ও ক্যান্টিন চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা সাদেকুল আরেফিন মাতিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় গত ২২ জুলাই বন্ধ ঘোষণা করা হলেও হলগুলো বন্ধ করা হয় ২৪ জুলাই। ছুটি শেষে আজ তা আবার শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইদের ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সিন্ডিকেট। #

 

Post MIddle

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট