ইউএসটিসির পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর ভাগ্য অনিশ্চিত

ustcপ্রায় দুই মাসের অচলাবস্থার পরও চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ইউএসটিসি) কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভ‌‌‌াবিক পরিবেশ ফিরিয়ে অানার উল্লেখযোগ্য কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।

শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনভাতা দাবি এবং ভিসি নিয়োগে অস্বচ্ছতার প্রতিবাদ ও বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ নীতি বাস্তাবায়নের দাবিতে গত ১৮ জুন থেকে প্রতিদিন ইউএসটিসির শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্ররা চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করে আসছে।

এই কর্মবিরতি কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, অাগামী ৩১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনো কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।

বিরাজমান অচলাবস্থা উত্তরণে ডেপুটি কমিশনার এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা পৃথকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও বিক্ষুব্ধদের নিয়ে অালোচনা করেন। যদিও এ অালোচনায় কোনো সুফল আসেনি।

Post MIddle

এরপর ১৯ জুন অান্দোলনকারীদের দাবির বিষয়ে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে চট্টগ্রাম জেলা প্রসাশক মেসবাহ উদ্দিন ও আন্দোলনকারীদের পক্ষে ডা. নিনা ইসলাম এবং ইউএসটিসি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে অালোচনার বিষয়ে অান্দোলনরত শিক্ষিকা ডা. নিনা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা জুন মাস ও ঈদের বেতন দিতে একমত হয়েছেন। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়নের পথে।

এসব জটিলতায় মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা যদি অাগামী পরীক্ষা দিতে না পারে তাহলে তারা অন্তত ছয় মাস পিছিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ৭ম সেমিস্টারের ছাত্র কামরুল ইসলাম বাপ্পি জানান, জুলাইতে ফাইনাল পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থার জন্য পরীক্ষা বাধার মুখে পড়েছে।

ইউএসটি‌‌‌সির ভিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সদস্য ডা. জাহাঙ্গীর অালম জানান, ছাত্রদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে উভয় পক্ষের ঐক্যমতে অাসা উচিত।

স: ইএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট