পীরগঞ্জ সরকারী কলেজে ভর্তি নিয়ে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ

imagesঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জ সরকারী কলেজে একাদশ শ্রেনীতে ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করাকে কেন্দ্র করে কলেজে হামলা চালিয়ে অধ্যক্ষসহ শিক্ষকদের মারপিট, কলেজের দরজা জানালা ভাংচুড় ও মটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকাল পৌনে ১১ টার দিকে একটি ছাত্র সংগঠনের (ছাত্রলীগ) কর্মীরা এই ঘটনা ঘটায়। পুলিশ বাধা দিতে গেলে তাদের উপরও চড়াও হয় হামলাকারীরা। পুলিশ ও কলেজ কতৃপক্ষ জানায়, পূর্ব ঘোষিত নোটিশ মতে শনিবার সকালে সরকারী কলেজে একাদশ শ্রেনীতে ভর্র্তির অপেক্ষমান তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হলে নিয়ম বহিভুত ভাবে দলীয় সমর্থকদের ভর্তির দাবীতে কলেজ কর্তৃপক্ষের উপর চড়াও হয় ওই সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে তারা অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুর রহমান, উপাধ্যক্ষ মসলেমউদ্দীন সহ শিক্ষকদের মারপিট করে। এ সময় কলেজের দরজা-জানালা ভাংচুর করা সহ মটর সাইকেলে অগ্নি সংযোগ করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে তাদের উপরও চড়াও হয় বিক্ষুব্ধরা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এ নিয়ে সরকারী কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। এঘটনায় কলেজের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সভাপতি নুরে আলম বিদ্যুৎ সহ তার আনুসারী অজ্ঞাতনামা আরো ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। পীরগঞ্জ থানার ওসি মুরশিদুল করিম মুহা: ইসতেসাম বলেন, সরকারী কলেজের ঘটনায় লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি বা কেউ গ্রেফতার হয়নি।এদিকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রম চলাকালে কলেজের ২ জন পিয়ন বাই পাশ করে ছাত্র ভর্তির চেষ্টা করলে বাধা দেওয়া হয়। দলের পক্ষ থেকে অন্যায়ভাবে ছাত্র ভর্তি করার চেষ্টার অভিযোগ সত্য নয়।

পছন্দের আরো পোস্ট