কওমি মাদরাসা বোর্ডের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের (বেফাক) ৩৭ তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ৭টি স্তরের পরীক্ষায় গড় পাশের হার ৭১ দশমিক ১৭ শতাংশ। এর মধ্যে প্রথম বিভাগে পাশ করেছেন ১০ হাজার ২৬ জন ছাত্র-ছাত্রী। স্টার মার্ক পেয়েছেন ৭ হাজার ২৭৪জন।Kaumi
রোববার বিকালে রাজধানীর কাজলায় বেফাক কার্যালয়ে বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল জব্বার এই ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন। এর আগে তার কাছে ফলাফলের ফাইল হস্তান্তর করেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতি আবু ইউসুফ। এ সময় বেফাক মহাসচিব বলেন, কওমি মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীরা নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা দিয়ে ফলাফলে সফলতার নজির স্থাপন করেছেন। এরাই যোগ্য আলেম হয়ে জাতির সামনে ইসলামের কথা তুলে ধরবেন এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা রাখবেন। বোর্ডের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষকরা এসময় উপস্থিত ছিলেণ।
প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ ক্লাস তাকমীলে (স্নাতকোত্তর ডিগ্রী) পাশের হার ছাত্রদের ৭৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, ছাত্রীদের ৭২দশমিক ১৫শতাংশ। তাকমীলে মেধা তালিকার শীর্ষে ঢাকার জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মোহাম্মদপুর, মাদরাসার  মুহাম্মাদ সাআদ হাসান। তাকমীলে বালিকা শাখায় প্রথম হয়েছেন মোমেনশাহীর গলগন্ডা মিফতাহুল জান্নাত মাদরাসার খাদিজাতুল জান্নাত।
ফজিলতে (স্নাতক ডিগ্রী) ছাত্রদের পাশের হার ৬৬ দশমিক৭৬ শতাংশ এবং ছাত্রীদের ৫৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ। মেধা তালিকায় প্রথম নারায়নগঞ্জের জামিয়া আরাবিয়া দারুল উলুম মাদরাসার আতাউর রহমান। বালিকা শাখায় শীর্ষে মিরপুর মহিলা মাদরাসার সুমাইয়া তাসফিয়া।
সানাবিয়্যাহ উলইয়াতে (উচ্চ মাধ্যমিক) ছাত্রদের পাশের হার ৬৫ দশমিক ৭৪শতাংশ এবং ছাত্রীদের ৪৮দশমিক ৭০শতাংশ। মেধা তালিকার শীর্ষে যাত্রাবাড়ী মাদরাসার জাওয়াদ আহমদ। বালিকা শাখায় প্রথম হয়েছেন মোমেনশাহীর গলগন্ডা মিফতাহুল জান্নাত মাদরাসার তাহমিনা ইয়াসমিন।
মুতাওয়াসসিতাহ (নিম্ন মাধ্যমিক) বিভাগে ছাত্রদের পাশের হার ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ছাত্রীদের ৬৭ দশমিক ৬০শতাংশ। মেধা তালিকার শীর্ষে সিলেটের জামিয়া ইসলামিয়া হোসাইনিয়া গহরপুর মাদরাসার আতাউর রহমান। বালিকা শাখায় প্রথম যশোর জামিয়া নিয়ামতিয়া কওমি মহিলা মাদরাসার হাফেজা তানজিফা নুর।
ইবতিদাইয়্যাহ (প্রাইমারী) বিভাগে ছাত্রদের পাশের হার ৬৬ দশমিক ৩০ শতাংশ ও ছাত্রীদের ৬২ দশমিক ০৮ শতাংশ। মেধা তালিকার শীর্ষে রয়েছেন মাদারীপুর জামিয়াতুস্সুন্নাহ মাদরাসার মুহা: আহসানুল্লাহ। বালিকা শাখার মেধা তালিকার শীর্ষে ঢাকার মাদরাসা আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) নুসরাত জাহান।
এছাড়া তাহফিজুল কুরআন ও ইলমুত তাজবীদ ওয়াল কিরাত বিভাগে পাশের হার যথাক্রমে ৮৪ দশমিক ০৭ শতাংশ ও ৮৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। হিফজের ৩৩টি ও কিরাতের ২টি গ্রুপে পৃথক পৃথকভাবে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।
বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, ফলাফলের সকল তথ্য বেফাকের ওয়েব সাইড www.befaqbd.com-এ পাওয়া যাবে। এ ছাড়াও যে কোন মোবাইল থেকে এস.এম.এস করে ফলাফল পাওয়া যাবে, এ জন্য মোবাইলের ম্যাসেস অপশনে টাইপ করতে হবে befaq স্পেজ First letter of class (মারহালার নামের ইংরেজী প্রথম অক্ষর যেমন- তাকমীলের T, ফযীলতের F, সানাবিয়ার S, মুতাওয়াসসিতাহর M, ইবতিদাইয়্যাহর I, হিফজুল কুরআন H, কিরাআতের Q) স্পেজ Roll লিখে Send করতে হবে ৯৯৩৩ নম্বরে।
উল্লেখ্য, ২ জুন থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষায় ৭টি স্তরে দেশের ৬৮৬টি কেন্দ্রে ৬৩ হাজার ৩৫৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে বালক ৪৫ হাজার ৭৯০ জন ও বালিকা ১৭ হাজার ৫৬৭ জন। কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ ক্লাস তাকমীলে (স্নাতকোত্তর) অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ হাজার ৯৪০ জন। ##

Post MIddle

স:আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট