গ্যোয়েটিংগেন ইউনিভার্সিটি
জার্মানির স্যাক্সনি রাজ্যে অবস্হিত গ্যোয়েটিংগেন শহরটি. গোটিংগেব বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ নাম গেয়র্গ আউগুস্ট ইউনির্ভাসিটি অফ গ্যোয়েটিংগেন৷গ্যোয়েটিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৩৭ সালে৷ এই শহরের মাঝখানে মার্কেট প্লেসে একটি ফোয়ারা এবং একটি নারীমূর্তি আছে৷ মেয়েটি দু হাতে দুটি হাঁস ধরে আছে৷ প্রতি বছর ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের ডিগ্রীটি হাতে পাবার পর সবাই এসে জড়ো হয় এই ফোয়ারার কাছে৷ প্রথা অনুযায়ী সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে সবাই মেয়েটির গালে ছোট্ট একটি চুমু খায়৷ বলা হয়ে থাকে পৃথিবীতে তরুণ যুবকদের কাছ থেকে এই মেয়েটিই চুমু পেয়েছে সব চেয়ে বেশি৷
গ্যোয়েটিংগেন শহরটি দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের হাত থেকে প্রায় বেঁচে গেছে বলা যেতে পারে৷ যার কারণে বেশ পুরোনো বিল্ডিং, ক্যাফে, বার, রেস্তোরা এখনো চোখে পড়বে৷ গ্যোয়েটিংগেন বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা দূরে নয় বসবাস করে শহরের ঠিক মাঝেই৷ ২০০৩ সালের একটি জরিপ অনুযায়ী গ্যোয়েটিংগেন শহরের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ ছিল ১৮ থেকে ৩০ বছরের মাঝামাঝি৷
গ্যোয়েটিংগেন শহরটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও আরো অনেক কারণে জনপ্রিয়৷ এখানে সাঁতার বেশ জনপ্রিয় একটি খেলা৷ গোটা শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য সুইমিং পুল৷ একেকটি পুলে প্রতি বছর প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার মানুষ নিয়মিত সাঁতার কাটতে আসে৷ এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন কনসার্ট হল, ক্লাব, ফ্যান পার্ক বিনোদন এবং অবসর সময় কাটানোর আরো অনেক ধরনের মাধ্যম৷
প্রতি বছর গ্যোয়েটিংগেন বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজন করে থাকে শহরের সব চেয়ে বড় নাচের আসরটি৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলেই আয়োজন করা হয়ে থাকে এই আসরটির৷ ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে প্রফেসর, অন্যান্য কর্মী কেউই বাদ যায় না৷
অত্যন্ত জনপ্রিয় এই নাচের আসরটি রীতিমত পেশাদারী বলে পরিচিতি লাভ করেছে৷ জ্যাজ, ব্যালে, ব্লুজ কোন কিছুই বাদ যায় না এই সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে৷
এই অনুষ্ঠানটি গ্যোয়েটিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান অধীর আগ্রহে গ্যোয়েটিংগেনবাসীরা প্রতি বছর অপেক্ষা করে এই দিনটির জন্য৷
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ জন ছাত্র-ছাত্রী পরবর্তীকালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন৷ পড়াশোনা, গবেষণায় এই কারণেই গ্যোয়েটিংগেন বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে আছে অন্য যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে৷