ঢাবিতে ভেজালমুক্ত নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সেমিনার

স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় খাদ্য বাজারজাত করার প্রযুক্তি সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। যেন ব্যবসায়ীরা ফরমালিনের মত কেমিক্যাল ব্যবহারে আগ্রহী না হন। ভেজালমুক্ত খাবার এবং মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে।_DSC0022
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘ভেজাল মুক্ত নিরাপদ খাবার: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন।
তিনি খাদ্যে ভেজাল রোধে অর্গানিক প্রিজারভেটিভ আমদানীর অনুমতি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
সেমিনারে ঢাবি ভিসি  ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক খাদ্যে ভেজাল মেশানোর সঙ্গে জড়িত নীরব ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানান। তিনি  বলেন, এ ব্যাপারে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। তিনি ভেজাল বিরোধী কার্যক্রম জোরদার এবং ব্যবসায়ীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পাবলিক হেল্থ ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাহেরুল হক।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেল্থ-এর উদ্যোগে ৫০টি খাদ্যের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় শাকসব্জি, ফলমূল, মাছ-মাংস, মিষ্টি, লবণ, গুড়া মরিচসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল খাদ্যদ্রব্যে অসহনীয় মাত্রায় বিষাক্ত কেমিক্যাল ও ভেজাল পাওয়া গেছে । তিনি ভেজালরোধে বিদ্যমান আইনসমূহের যথাযথ প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উপাচার্য  ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বেসরকারী জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ড. সুবিমল সিংহ চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক, ডা. সেলিমা রহমান, পাবলিক হেল্থ ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সিইও অধ্যাপক শারমিন ইয়াসমিন। ##

Post MIddle

মিসবাহ/আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট