উজিরপুরে মাদ্রসা অধ্যক্ষের নির্দেশে অভিভাবককে হামলা

Barisal
বরিশালের উজিরপুরের মাদ্রসার অধ্যক্ষের নির্দেশে শিক্ষার্থীর পিতা ও মাতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান ২০১৩ সালে দাখিল পাশ করেন উপজেলার আটিপাড়া এম ইউ ফাজিল মাদ্রাসা থেকে। চাকরির জন্য মার্কসিট চেয়ে কাছে আবেদন করলে মার্কসিট দেওয়ার কথা বলে নানা তালবাহানা শুরু করে অধ্যক্ষ মো. মোবারক আলী ফারুকী।

এ ঘটনাটি কাজীরা গ্রামের পিতা মোছলেম শেখ ও মাতা হেনারা বেগমের কাছে জানালে তারা কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য দেলোয়ার হোসেন তালুকদারের কাছে বারবার ধর্ণা দিয়ে ১০ থেকে ১৫ দিন আগে মার্কসিট পাওয়ার জন্য চারশ’ টাকা দিয়ে যান।

ওই সদস্য’র কাছে পুত্রের মার্কসিটের জন্য পূনরায় রোববার বেলা ১১ টায় ওই মাদ্রাসায় আসলে অধ্যক্ষ মো. মোবারক আলী ফারুকী মার্কসিট দেওয়া যাবে না বলে শিক্ষার্থী অভিভাবকদের জানিয়ে দেন।

কেনো মার্কসিট দেওয়া হবে না জানতে চাইলে অধ্যক্ষ তাদের উপর চড়াও হয়। এ সময় ম্যানিজিং কমিটির সদস্য দেলোয়ার হোসেন তালুকদার ও তার ছেলে বিপ্লব তালুকদার ওই শিক্ষার্থীর মাতা হেনারা বেগমকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দেয় এবং পিতা মোছলেম শেখকেও বেধরক মারধর করে মার্কসিট না দিয়ে চলে যায়।

Post MIddle

গুরুতর আহত অবস্থায় হেনারাকে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত ডাক্তার আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ বিষয় মোছলেম শেখ উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মো: সোহরাব হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অলি আহাদের কাছে অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অধ্যক্ষর কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি মাদ্রাসায় উপস্থিত ছিলাম না এবং আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা।

অপর অভিযুক্ত ম্যানেজিং কমিটির সদস্য দেলোয়ার হোসেন তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার ছেলে মারতে গিয়েছিল কিন্তু মারতে দেয়নি।

এ ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অলি আহাদ জানান, ঘটনাটি শুনেছি তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স: ইএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট