বাংলাদেশিকে পুরস্কৃত করলো রিয়াদের আল ইয়ামামা স্কুল
শত খবরের মাঝে চাপা পড়ে থাকা এই খবরটি প্রকাশ করে সউদি দৈনিক আল হায়াত। চরম হতাশার মাঝে এই খবর গুল প্রবাসীদের উৎসাহিত করে। সউদি আরবের রিয়াদের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ গুলোর অন্যতম আল ইয়ামামা স্কুলের কর্মরত শোভা বর্ধনের কাজে নিয়জিত বাংলাদেশী সিদ্দিক আলীর পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও অভিবাবক বৃন্দ। পুরষ্কার পাবার এক মিনিট আগেও সিদ্দিক আলী জানত না এই আয়োজন কেবল তারই জন্য। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আল সাধুনের উদ্যোগে এই পুরস্কারের আয়োজন শিক্ষক ও অভিবাবক বিন্দ। তিনি জানান সিদ্দিক আলী আমাদের প্রতিষ্ঠানে ৯ বছর জাবত কর্মরত আছেন। তার সততা, কর্মতৎপরতা, অমায়িক ব্যাবহার, নিয়মানুবর্তিতার কারনে সকলের প্রিয় হয়ে উঠেন। স্কুলের অভিবাবকরা তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তারই ধারাবাহিকতায় স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল সহ শিক্ষক ও অভিবাকদের সাথে আলোচনা করে আমরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। আমরা তাকে জানাই নি এই আয়োজন তারই জন্য। অনুষ্ঠান শুরু হবার পর পর স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল তার কাছে এসে বলেন সিদ্দিক আলী তুমি সামনের সারির সোফাতে গিয়ে বসতে বললে সে সঙ্কোচে পড়ে জায়। আর ২ জন শিক্ষক এসে তাকে আশ্বস্ত করেন হ্যাঁ সিদ্দিক আলী যাও অই সোফায় গিয়ে বস কারন এটা তোমার জন্য। তখন ও সে কিছু বুঝে উঠতে পারেনি কি হতে যাচ্ছে। আসলে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল আমরা তাকে সারপাইজ দিব। পুরষ্কার ঘোষণা হল, সিদ্দিক আলী কে মঞ্চে আহ্বান করা হয়েছে তখন তার বিশ্বাস হচ্ছিল না এটা আসলেই তার জন্য। আল-সাধুন, জানান আসলে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল তাদের উৎসাহিত করা। তার পরিশ্রম ও সততাকে সম্মান করা। এবং আমাদের দেশে অসংখ্য শ্রমিক আছে যারা তাদের ন্যায্য পারিশ্রমিক পায় না। রোদে জলে আমাদের দেশের সৌন্দর্য বর্ধনের করে যাচ্ছে। তিনি বলেন আমি সমাজের সকল সচেতন বিত্তবানদের কাছে এই আহ্বান রাখতে চাই আসুন আমরা সবাই সবার অবস্থান থেকে সিদ্দিক আলীদের পাশে দাঁড়াই। তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেই।