জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ধিত ফি প্রত্যাহার দাবি: রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের বর্ধিত ফি অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) রাজশাহী জেলা শাখার নেতারা। শনিবার রাজশাহী শাহ মখদুম কলেজে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বাকশিসের সাধারণ সম্পাদক রাজ কুমার সরকার। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনাস কোর্সে প্রতি বিষয়ে প্রতি বছর ৪ হাজার টাকার স্থলে বর্তমানে তিন বছরে ২৫ হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে। ডিগ্রি পাস কোর্সে ৪ হাজার টাকার স্থলে তিন বছরে ২০ হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও পাস কোর্সে অধিভুক্তি ফি ৫ হাজার টাকার স্থলে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। অনার্সের প্রতি বিষয়ে আবেদন ফি আগে ছিল ৫ হাজার টাকা, যা বর্তমানে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। কলেজের উন্নয়নের নামে প্রতি কলেজ থেকে প্রত্যেক বছর ২ হাজার টাকার স্থলে ২০১৪ সাল থেকে অযৌক্তিকভাবে তিন বছরে ৭ হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। ওই অর্থ কলেজ ও শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে ব্যয় করার কথা থাকলেও তা করা হয় না বলেও অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, অবিলম্বে ওই বর্ধিত ফি প্রত্যাহার করে আগের মতো ফি নির্ধারণ করতে হবে।
এছাড়া শিক্ষকদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে সেশনজট কমিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফল ৭৫ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে, সৃজনশীল পদ্ধতি কার্যকর করার জন্য সব শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিতে হবে, হয়রানি ও লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কমাতে বিভাগীয় শহরগুলোতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক অফিস চালু করতে হবে। একইসঙ্গে পরীক্ষার ফরম পূরণ, নিবন্ধন, ডিডি জমা, পরীক্ষার উপকরণসহ সব কাগজ আঞ্চলিক অফিসের মাধ্যমে গ্রহণ ও বিতরণ করতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেটসহ প্রত্যেক কমিটিতে শিক্ষার্থীর আনুপাতিক হারে বেসরকারি শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এছাড়া ঈদের আগেই জুলাই মাসের বেতনসহ পূর্ণাঙ্গ বোনাস এবং ৭ তারিখের আগেই প্রতি মাসের বেতন প্রদানের দাবি জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলন থেকে। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, দাবি আদায়ে ১৫ জুলাই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে স্মারকলিপি দেয়া হবে। প্রয়োজনে ঈদের পর বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাকশিসের সভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান, মহানগর বাকশিসের সভাপতি রইসুদ্দিন প্রমুখ। #
স:আরএইচ