দীর্ঘ সেশন জটে হাবিপ্রবি ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের শিক্ষার্থীরা

01082008331হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বমোট ৭ টি অনুষদ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ । ২০০৫ সালে ফুড এন্ড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজের খোলার মাধ্যমে এ অনুষদের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এই অনুষদে আরো দুটি সাবজেট যোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০০৯ সালে এগ্রিকালচার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ২০১৩ সালে আর্কিটেকচার সাবজেট খোলা হয়। বর্তমানে এই অনুষদের শিক্ষার্থীরা সেশন জটের গভীর সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছে । খোজ নিয়ে দেয়া যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সেশন জটে ভুগছে এ অনুষদের শিক্ষার্থীরা। প্রায় প্রত্যেকটা লেভেলে জোটের প্রভাব রয়েছে।কোন কোন লেভেলে ১ বছর কোন কোন লেভেলে ১.৫ বছর আবার কারো ১১ মাস করে সেশন জট রয়েছে। এ নিয়ে উক্ত অনুষদের সঙ্কার শেষ নেই ।
এ ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের কয়েক জন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে যানা যায়।
এদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের লেভেল ২ সেমিস্টার ২ এর ছাত্রী মালা পারভীন এর সাথে কথা বলে যানা যায় তিনি বলেন আমাদের ফেকাল্টির জট আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাড়িয়েছে। যে কোন উপায়ে এ জট নিরশন করতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের লেভেল ২ সেমিস্টার ২ এর ছাত্র মো: কামরুজ্জামান বাপ্পি বলেন, আমাদের লেভেলের সব ফেকাল্টির ছেলে মেয়েরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে লেভেল ৩ তে পড়ে কিন্তু আমরা এখনও লেভেল ২ সেমিস্টার ২ তে পড়ে আছি। আমাদের ফেকাল্টিতে এত জট কিন্তু এব্যাপারে প্রশাসনের কোন তৎপরতা দেখতে পাচ্ছিনা। প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন তারা যেন জট নিরশনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করেন।
এ ব্যপারে প্রশ্ন করলে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো: সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা যথেষ্ঠ চেষ্টা করছি জট কমিয়ে আনার জন্য। আসলে জট টি শুরু হয় ২০১০ এর দিকে। সে সময় উক্ত অনুষদের শিক্ষার্থীরা মাস্টার্স ডিগ্রি খোলার জন্য আন্দোলন করেন এবং তার সাথে জড়িয়ে পরে আন্ডার গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীরা। যার জন্য ৬ মাসেরও বেশি ক্লাস বন্ধ থাকে। ফলে এই জটের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও তিনি বলেন আমাদের যথেষ্ট ক্লাস রুম নেই, প্রয়োজনীয় শিক্ষক নেই যার কারনে আমরা একটু পিছিয়ে রয়েছি। তিনি আরও বলেন আমরা অতি তাড়াতাড়ি আমরা ক্লাসরুম এবং আমাদের যে সংকট গুলো রয়েছে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।

পছন্দের আরো পোস্ট