ঢাবিতে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি:অযোগ্য পাঁচ প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার সুযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, বিজ্ঞপ্তির শর্ত লঙ্ঘন করে আবেদনের অযোগ্য পাঁচ প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়েছে। বিভাগের এক শিক্ষকের স্ত্রীকে নিয়োগ দেওয়ার লক্ষে তাদেরকে সাক্ষাৎকারে ডাকার সুপারিশ করেছে বিভাগের সমন্বয় ও উন্নয়ন কমিটি (সিএন্ডডি)।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয়য় দৈনিকে সহকারী অধ্যাপকের ছুটি জনিত শূন্যপদের বিপরীতে একজন অস্থায়ী প্রভাষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেখানে আবেদনকারীর যোগ্যতা হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এর মধ্যে ন্যুনতম ৪ দশমিক ২৫ এবং ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর পরীক্ষায় ন্যুনতম জিপিএ ৩ দশমিক ৫০ বা প্রথম শ্রেণী থাকতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
বিভাগের শিক্ষকদের কয়েকজন অভিযোগ করেন, আবেদনকারী একজনের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল ৩ দশমিক ৭৫, উচ্চমাধ্যমিকে ৩ দশমিক ৮০। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে তার প্রথম শ্রেণি রয়েছে। তাঁকে নিয়োগ দিতেই সিঅ্যান্ডডি বাকি চারজনকেও সাক্ষাৎকারে ডাকার সুপারিশ করেছে। উল্লেখ, ওই প্রার্থী বিভাগের একজন প্রভাষকের স্ত্রী।
সূত্র জানায়, গত ১৬ মার্চ পর্যন্ত এ পদে অন্তত ১২টি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে ১০ জনকে সাক্ষাৎকারে ডাকা হয়। ২ জুলাই নিয়োগ বোর্ড বসার কথা থাকলেও বসেনি।
এই দশ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পাঁচজনেরই মাধ্যমিত ব উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ ৪ দশমিক ২৫ নেই।
বিভাগের একাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী বলেন,বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত যোগ্যতার বাইরে আবেদন করা যাবে জানলে তারাও আবেদন করতেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, সিএন্ডডি কমিটির সদস্যরা যে কোন ধরনের ঝামেলা এড়াতে সবাইকে সুপারিশ করেছে ।
প্রভাষকের স্ত্রীর নিয়োগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নিয়োগ বোর্ডের প্রধান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য নাসরিন আহমদ বলেন, কেবল মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যিিমক পরীক্ষার ফল দিয়ে কারও যোগ্যতা নির্ধারণ করা যায় না। যাদেরকে সাক্ষাৎকারে ডাকা হয়েছে তারা সবাই এই বিভাগে চার বছর পড়াশোনা করেছেন। তাদের মধ্যে যে বেশী যোগ্য তাকে নিয়োগ দেওয়া হবে।