রাবির ডাইনিং বন্ধে বিপাকে হলের শিক্ষার্থীরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি আবাসিক হলের ডাইনিং বন্ধ থাকায় খাবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেরে-ই-বাংলা ফজলুল হক হলে গত চার দিন ধরে ডাইনিং বন্ধ রয়েছে। এতে সেহরি খাওয়া নিয়ে রাতে মুসলিম শিক্ষার্থীরা পরেছেন চরম বিপাকে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়াসহ খাবারের দোকানগুলো খোলা থাকায় অন্য ধর্মালম্বী শিক্ষার্থীদের খাবার নিয়ে তেমন চিন্তা করতে হচ্ছে না।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানায়, রমজানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ১১টি খাবারের টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। অন্য সময়ে হলে রাতের খাবার ১৬ টাকা হলেও বমজানে তা করা হয়েছে ২০ টাকা এবং দুপুরের খাবার ২০টা হলেও সেহরিতে তা করা হয়েছে ২৫ টাকা। ছাত্রীদের ৫টি হলেও রমজানে খাবারে টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে টাকার পরিমান বৃদ্ধি করলেও খাবারের মান আগের মতোই রয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন। রমজানে রোজা রাখার জন্য মুসলিম শিক্ষার্থীরা হলের অসাস্থ্যকর খারা খেয়েই রোজা রাখলেও পাশাপাশি তিনটি হলের ডাইনিং বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পরেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, প্রতিবারের ন্যায় এবারও শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে রমজানে শুরু থেকেই ইফতারের পর রাতের এবং সেহরী খাবারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি আবাসিক হলের ডাইনিং চালু রাখা হয়। কিন্তু কাঁচা বাজারের মুল্য বৃদ্ধি ও ডাইনিং এর শিক্ষার্থীদের তেমন উপস্থিত না থাাকায় গত সোমবার থেকে ১৬টির মধ্যে ছাত্রদের তিনটি হলের ডাইনিং বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে করে আবাসিক শিক্ষার্থীদেরকে বাড়তি সময় অপচয় করে রান্না করে খেতে হচ্ছে। অনেকে আবার আশে পাশের দোকান থেকে বেশী দামে খাবার কিনে খাচ্ছেন। এতে করে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক ও দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে ব্রাজিলের খেলা দেখার পর সেহরি খাওয়ার জন্য অনেক জায়গায় ঘোরার পর বিনোদপুরে গিয়ে বাসি খাবার খেয়ে রোজা থেকেছি। হলের ডাইনিং বন্ধ থাকলে এমনটা করতে হতো না বলেও জানান তিনি।
ডাইনিং বন্ধ রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে মতিহার হলের প্রাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বলেন, হলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই এখন রান্না করে খাচ্ছে তাই ডাইনিং বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের চাহিদা থাকলে ডাইনিং আবারও চালু রাখা হবে বলে জানান তিনি।