পাঠ্যপুস্তকে নিম্নমানের কাগজ সরবরাহের চেষ্টা

text-board২০১৫ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ও বাংলা ব্যাকরণ বই মুদ্রণে নিন্মমানের কাগজ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

৬০ গ্রাম সাদা কাগজে মাধ্যমিক স্তরের সকল বই মুদ্রণের কথা নির্দেশনা থাকলেও সাদা কাগজের বদলে নিউজপ্রিন্ট দিয়ে বই মুদ্রণের উদ্যোগ নিয়েছে কার্যাদেশ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কাজ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো যে কাগজের নমুনা এনসিটিবিতে জমা দিয়েছে সেগুলো ৫০ থেকে ৫৫ গ্রাম বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির নেতারা বুধবার এনসিটিবির চেয়ারম্যানের কাছে এ বিষয়ে ৪ দফার একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।

সমিতির চেয়ারম্যান শহীদ সেরনিয়াবাতসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাজধানীর মতিঝিলের এনসিটিবি কার্যালয়ের সামনে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশও করেন।

সমাবেশে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত বলেন, দেশে এখন কোনও রাজনৈতিক সংকট নেই, যে তড়িঘড়ি করে নিম্নমানের বই শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের হাতে মানসম্পন্ন বই পৌঁছানের ব্যবস্থা করতে হবে।

স্মারকলিপির ৪ দফার মধ্যে রয়েছে, মাধ্যমিক স্তরের পাঠপুস্তক মুদ্রণের জন্য কাগজ সরবরাহের কার্যাদেশ পাওয়া প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রে উল্লেখিত কাগজের মান নিশ্চিত করতে হবে। কোনো ভাবেই উল্লেখিত মানের চেয়ে নিম্নমানের কাগজ গ্রহণ করা চলবে না।

শিক্ষার্থীদের কাছে মানসম্পন্ন বই পৌঁছানোর জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি মাননিয়ন্ত্রণ কমিটি গঠনের সুপারিশও করা হয় স্মারকলিপিতে।

স: ইএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট